বেশকিছু দিন ধরেই ‘হেড অব প্রোগ্রাম‘ পদে একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া কথা ভেবে আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অবশেষে সেই ভাবনার বাস্তব রূপ পেল। বহুল কাঙ্ক্ষিত এই পদে ডেভিড মুরকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। এই অস্ট্রেলিয়ানের আগমনে আরো আলোর মুখ দেখবে বাংলাদেশের পাইপলাইন, এমনটাই ভাবছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। তার উপর অন্তত সেই আস্থাটা রেখেছে বিসিবি।
এই ‘হেড অব প্রোগ্রাম‘ বলতে মূলত জাতীয় দল ছাড়াও অন্যান্য দলগুলোকে একই সূত্রে গেঁথে রাখার ব্যাপারটি বুঝাচ্ছে। ‘এ‘ দল, এইচপি কিংবা বাংলাদেশ টাইগার্সের মতো দলগুলো থেকে ক্রিকেটার তৈরি করা হয় জাতীয় দলের জন্য। আর সেই দলগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করার কাজটাই করবেন মুর। টাইগার ক্রিকেটের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি হয়েছে তার। কাজ শুরু করবেন, প্রধান কোচ আসার পরেই।
অবশ্য বাংলাদেশ দলের পাইপলাইন দুর্বলতার বিষয়টি আজ নতুন নয়। নানান সময়ে, নানানভাবে বিসিবি চেষ্টা করেও এই সমস্যা দূর করতে পারেনি। কখনো কখনো বেশ চাকচিক্য দিয়ে কাজ শুরু করেও, শেষ পর্যন্ত ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় পাইপলাইন হিসেবে থাকা বিভিন্ন প্লাটফর্মের ক্যাম্পগুলো। তাই সেসব জায়গা গুছিয়ে রাখতে, এবার বিদেশ থেকে কর্মকর্তা উড়িয়ে আনছে টাইগার ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে দারুণ খুশি মুর। এমনকি টাইগারদের সঙ্গে কাজ করতে তার তর সইছে না বলেও জানান এই অস্ট্রেলিয়ান। মুর বলেন, ” বিসিবিতে কাজ করতে আমি মুখিয়ে আছি। সেখান (বাংলাদেশ) গিয়ে আমি নিজের দক্ষতা দেখাতে চাই। দেশটির ক্রিকেটার, কোচ এবং অন্যান্যদের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি। বাংলাদেশের জন্য আমি অবদান রাখতে চাই। “
উল্লেখ্য, খেলোয়াড়ি জীবনে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন মুর। এরপর একই দলের প্রশাসক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। দায়িত্ব পালন করেছেন, ক্রিকেট পারফরম্যান্সের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে। সেখান থেকে বেশ অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করেছেন মুর। এবার নিজের অভিজ্ঞতা ঢেলে দেবেন টাইগার ক্রিকেটে। এই দুই বছর সময়ে কেমন করবেন, তাই এখন দেখার বিষয়।