প্রথমবারের মতো নারীদের নিয়ে আইসিসি অনুর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এই বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে ভারত। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে ভারতীয় কিশোরীরা। টুর্নামেন্ট শেষে এখন হিসাব নিকাশের পালা। এরমধ্যে বিশ্বকাপের সেরা একাদশও প্রকাশ করেছে আইসিসি। আর সেই একাদশে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে জায়গা পেয়েছেন স্বর্ণা আক্তার।
এই বিশ্বকাপে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করেছেন স্বর্ণা। যেখানে বাংলাদেশের জন্য রীতিমতো ত্রাণকর্তা হয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়টিতে তার অবদান, অপরাজিত ২৩ রান। শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলেছেন ২৮ বল থেকে অর্ধশত রানের ইনিংস। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২২, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেছেন স্বর্ণা।
ব্যাট হাতে এমন পারফরম্যান্সের সুবাদে, বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন স্বর্ণা। তবে নিজের দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেননি তিনি। এই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মতো পরাশক্তিকে হারিয়ে, উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। সেই ছন্দ ধরে রেখে, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে রাউন্ড অব সিক্সে পা রাখে বাঘিনীরা। কিন্তু ভাগ্যের মারপ্যাঁচে শেষ পর্যন্ত সেখানেই স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের।
সেমিফাইনালে পৌঁছাতে না পারলেও, প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলাদেশের কিশোরীরা। স্বর্ণা ছাড়াও ব্যাটে – বলে আলো ছড়িয়েছেন একাধিক ক্রিকেটার। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন আফিয়া প্রত্যাশা। ব্যাট হাতে শুধু নিজের দলকে জেতালেন তা নয়, মারকুটে ব্যাটিংয়ে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি। তবে তাদের জায়গা হয়নি আইসিসি নির্বাচিত সেরা একাদশে।
এদিকে বিশ্বকাপ একাদশে জায়গা পেয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন দল ভারতের তিনজন। সমান তিনজন ক্রিকেটার আছেন, রানার্সআপ দল ইংল্যান্ডের। এছাড়া একজন করে ক্রিকেটার আছেন বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে। তবে বিস্ময় জাগানিয়া বিষয় হলো, সেরা একাদশের অধিনায়কত্ব পাননি চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক। নেতৃত্বে আছেন ইংল্যান্ডের গ্রেস স্ক্রিভেন্স।
অনুর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশ:
গ্রেস স্ক্রিভেন্স (অধিনায়ক/ইংল্যান্ড), শ্বেতা সেহরাওয়াত (ভারত), শেফালি ভার্মা (ভারত), জর্জিয়া প্লিমার (নিউজিল্যান্ড), দেউমি ভিহাঙ্গা (শ্রীলংকা), স্বর্ণা আক্তার (বাংলাদেশ), কারাবো মেসো (উইকেটরক্ষক/দক্ষিণ আফ্রিকা), পর্শভি চোপড়া (ভারত), হান্না বেকার (ইংল্যান্ড), এলি অ্যান্ডারসন (ইংল্যান্ড), এবং মেগি ক্লার্ক (অস্ট্রেলিয়া)।