নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে, বাংলাদেশের রেকর্ডটা খুব একটা সুখকর নয়। গেল তিনটি আসরে কোনো জয়ের দেখা পাননি জাহানারা আলম, সালমা খাতুনরা। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠের দুটি জয়, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা অর্জন হয়ে আছে সেটাই। সেই হতাশা আর ক্ষুধা নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ খেলতে গেছে বাঘিনীরা। বিশ্বকাপের শুরুর অভিযানটাও ভালো হয়নি তাদের। প্রথম ম্যাচেই হেরে গেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তবে ব্যর্থতা কাটিয়ে আবার ঘুরে দাড়াতে চায় বাংলাদেশ। এবারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলতে চায় জ্যোতিরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এবারের বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে, ব্যাটে – বলে দারুণ নৈপূন্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। বাছাইপর্বে সব দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। যদিও সেই জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারেনি, নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। প্রস্তুতি ম্যাচে নড়বড়ে ক্রিকেট খেলে, মনোবলে চিড় ধরিয়েছে নিজেরাই। তবে বিশ্বকাপে পরিকল্পনা করেই এগিয়ে যেতে চায় নারী ক্রিকেট দল।একটি একটি করে ম্যাচ জিতে এগোতে চান জ্যোতিরা।
বিশ্বকাপে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে জ্যোতি বলেন, ” ২০১৪ সালে আমরা জয় পেয়েছি। এরপর থেকে জয়টা যেন সোনার হরিণ। এজন্য এবার আমরা লক্ষ্য স্থির করেছি। প্রথমে একটি ম্যাচ জিততে চাই। সেখান থেকে জয়ের ধারা বজায় রেখে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। তবে লক্ষ্যের কথা যদি বলি, আমরা এখানে এসেছি সেমিফাইনালের খেলার পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে। “
বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন জ্যোতি। তবে যেকোনো দলের বিপক্ষে লড়াই করার সামর্থ্য আছে বলে জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এ প্রসঙ্গে জ্যোতি আরো বলেন, ” আমরা বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছি। আমরা জানি, অনেক বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলা। তবে আমাদের সামর্থ্য আছে, যেকোনো দলকে হারিয়ে দেওয়ার। আমরা জয়ের জন্যই খেলবো। “
এজন্য অবশ্য শুধু নিজেদের খেলাই যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন জ্যোতি। ভক্ত – সমর্থকদের প্রতি তার অনুরোধ, সবাই যেন জোরালো সমর্থন দিয়ে যান। কারণ, বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে দর্শক সমর্থনটাও বড় ভূমিকা রাখে। সেক্ষেত্রে পুরুষ দল যেভাবে সমর্থন পায়, নারীরা তারচেয়ে অনেক কম। এই ভেদাভেদ ভুলে, দেশের সম্মান বয়ে আনতে সবাইকে ক্রিকেট ভালোবাসতে বললেন জ্যোতি। দেখা যাক প্রথম ম্যাচেই হারের ধাক্কা কাটিয়ে কতোটা সফল হতে পারেন জ্যোতিরা।