বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রতিটি আসর শুরু হলেই যেন সামনে আসে, নানান বিতর্ক আর আলোচনা সমালোচনা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের নবম আসর মাঠে গড়ানোর পর থেকেই সৃষ্টি হচ্ছে একের পর এক বিতর্ক। মাঠের যা-তা অবস্থা ছাড়িয়ে, এবার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবের মতো ভয়াবহ খবর বের হয়েছে এই টুর্নামেন্টে।এরপর থেকেই শোরগোল পড়েছে ক্রিকেটে।
দল সূত্রে জানা গেছে, ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক পরিচালক। যদিও তারা সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি। বরং সর্বোচ্চ সতর্ক হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতি দমন ইউনিট, আকসুকে বিষয়টি জানিয়েছে তারা। এ নিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা বলেন, ” আমরা শুনেছি, একটি দলকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আকসু দেখছে। “
সিলেটের ব্যাপারটি আপাতত এটুকু। তবে বিস্ময় জাগানিয়া খবর হলো, বিপিএল শুরুর আগেই ঘটে যায় আরো একটি ফিক্সিং সংক্রান্ত কান্ড। সরাসরি জাতীয় দলের এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে একটি ফ্রাঞ্চাইজি। সেই প্রস্তাবটি ছিল এমন, সরাসরি চুক্তিতে সেই ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে খেলার পাশাপাশি কয়েকটি ম্যাচও ‘ফেভার’ করে দেবেন ঐ ক্রিকেটার। কিন্তু সেখানেও ষোলকলা পূরণ হয়নি!
মূলত নিলামের আগেই সেই ক্রিকেটারকে সরাসরি চুক্তিতে দলে নিতে চায় ফ্রাঞ্চাইজি। যেহেতু সরাসরি চুক্তি, সেহেতু গোটা এক মৌসুমের জন্য দলের হয়ে যাবেন ঐ ক্রিকেটার। সেক্ষেত্রে চুক্তিতে টাকার অংকটাও হতে পারে ইচ্ছেমত। কিন্তু চুক্তির সঙ্গে শর্ত হিসেবে ফ্রাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে জুড়ে দেওয়া হয় একাধিক শর্ত। যেখানে অন্তত ৩ – ৪ টি ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেওয়া হয় ক্রিকেটারকে।
অবশ্য এমন অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া দেননি ঐ ক্রিকেটার। বনিবনা না হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত চুক্তিও করেননি তিনি। পরে নিলাম থেকে তাকে কিনে নেয়, অন্য একটি ফ্রাঞ্চাইজি। এদিকে ঐ ক্রিকেটারও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি বিসিবকে জানিয়ে দেন। এমনকি বর্তমানে যে দলের হয়ে তিনি খেলছেন, সেই দলও এই ঘটনার বিষয়ে অবগত। এ বিষয়ে অবশ্য এখন নিরব ভূমিকায় বিসিবি।