বিপিএল, বিগব্যাশ, আরব আমিরাতের লিগগুলো প্রায় একই সময়ে হওয়ার কারণে সেখানে ক্রিকেটারদের পাওয়া নিয়ে প্রতিযোগিতা লেগেই থাকে। বিভিন্ন দেশের তারকা ক্রিকেটারদের দেখা যায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোতে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ( বিপিএল ) সঙ্গে পাকিস্তান তারকা ক্রিকেটারদের সম্পর্ক নতুন নয়। শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ রিজওয়াদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের দেখা যায় বিপিএল খেলতে । যদিও চোটের কারণে চলতি মৌসুমে শাহিন আফ্রিদি আসতে পারেননি। আর বিপিএলে ক্রিকেটের মান প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ার কারণেই এখানে খেলতে আসেন মালিকরা। সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিক।
বিপিএলের চলতি মৌসুমে মালিক খেলছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। এর আগে তিনি বিপিএল মাতিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ন্স, চট্টগ্রাম ভাইকিংস এবং রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে। পাকিস্তানি এই ক্রিকেটারের চোখে বিপিএলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট দেখা যায়। ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে খেলার সুযোগ থাকার কারণে খেলায় উন্নতি করার সুযোগটা পাওয়া যায় বলে দাবি তার
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শোয়েব মালিক বলেন, ” বিপিএল ভীষণ উপভোগ করি। ক্রিকেটের মান এখানে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ায় খেলতে মজাও আছে।বিপিএলে পিচের কন্ডিশনও এখানে একেক জায়গায় একেক রকম। বিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা থেকে জানি, এখানকার পিচ চট্টগ্রামে একরকম, ঢাকায় আরেকরকম, সিলেটে আবার ভিন্ন। ব্যাপারটা ক্রিকেটারদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হলেও, একেক ভেন্যুতে একেকরকম কন্ডিশন থাকায় ক্রিকেটারদের উন্নতির সুযোগ আছে। এজন্যই বাংলাদেশে আসি এবং এখানে খেলি, এখন পর্যন্ত দারুণভাবে উপভোগ করছি এই টুর্নামেন্ট। ”
নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশের সাফল্যের হার দুর্দান্ত মনে করেন মালিক। তিনি বলেন, ” গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক এগিয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনেক কিছুই বদলে গেছে। নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসায় এখানকার ক্রিকেটের পরিচিতি আছে এখন বিশ্বের সব জায়গায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার লিগগুলোতে নিজেকে প্রমানের সুযোগ পাচ্ছে। নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশের সাফল্যের হার তো দুর্দান্ত। ধারাবাহিক ভাবে তারা ঘরের মাঠে সিরিজে ভালো করছে। ”
দেশের কন্ডিশনে বাংলাদেশ ভালো করলেও বিদেশের মাটিতে তেমন সুবিধা করতে পারে না টাইগাররা । তাই মালিকেরও চাওয়া দেশের বাইরে পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে হবে টিম বাংলাদেশকে। তিনি বলেন, ” ঘরের মাঠের তুলনায় বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বিদেশে তেমন ভালোনা। এই জায়গায় তাদের এখনও উন্নতি করতে হবে। বিদেশের মাটিতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে হবে। তবে এই দেশে প্রতিভার কথা যদি বলি, যথেষ্টই আছে। এখন প্রয়োজন হলো তরুন ক্রিকেটারদের পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া, যেন তারা নিজেদের প্রমান করতে পারে। দলে পর্যাপ্ত সুযোগ পেলে তারা খেলায় উন্নতি করতে পারবে এবং দেশের বাইরেও ভালো করতে পারবে। “
উল্লেখ্য, বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলেও ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার। বিপিএলে বর্তমান রান সংগ্রাহকের তালিকায় সাত নম্বরে আছেন তিনি। সাত ম্যাচে ৪৫ গড় এবং ১৩৪.৭৩ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছেন ২২৫ রান। চলতি আসরে এ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে এসেছে দুটি হাফ সেঞ্চুরিও।