বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এখন সিলেটে। আর সেখানে স্বাগতিক হিসেবে খেলছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। অবশ্য ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে দর্শকদের হতাশ করেছে দলটি। কিন্তু পরবর্তীতে ছন্দে ফিরেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন সিলেট। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে প্লে – অফও নিশ্চিত করেছে তারা। আর এই ম্যাচেই শাস্তি পেয়ে বসলেন ব্যাট হাতে ফর্মে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত।
চট্টগ্রামের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু পান শান্ত। ইনিংসের শুরু থেকে সাবলীল ব্যাটিং করে তুলে নেন অর্ধশতক। যদিও এই ম্যাচে খুব বেশি মারকুটে ব্যাটিং করেননি তিনি। তবে নাহিদুল ইসলামের বলে স্ট্যাম্পিং হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৬০ রান যোগ হয় তার নামের পাশে। কিন্তু ম্যাচ শেষ করে আসতে না পারায়, আউট হওয়ার পর মেজাজ হারিয়ে বসেন শান্ত।
আউট হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় শান্তর চোখেমুখে দেখা যায় হতাশা। ড্রেসিংরুমের সামনে এসে অবশ্য সেই হতাশা পরিণত হয়েছে ক্ষোভে। যদিও সেই ক্ষোভ অন্য কারো উপর নয়। স্ট্যাম্পিং হয়ে সুন্দর ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটিয়ে দেওয়ায়, নিজের উপরই ক্ষোভ ঝাড়লেন শান্ত। এসময় হেলমেট ছুড়ে মারেন তিনি। এরপর তার হাত থেকে পড়ে যায় ব্যাটও। এ কারণেই শাস্তির মুখে পড়েছেন সিলেটের ওপেনার।
শান্তর আচরণ মোটেই ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মেজাজ হারিয়ে বিসিবির কোড অব কন্ডাক্টের ২.২ নম্বর ধারা ভঙ্গ করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এ কারণে শাস্তি হিসেবে তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। যদিও কোনো ধরণের অর্থ জরিমানা করা হয়নি তাকে। এদিকে শান্ত নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায়, আনুষ্ঠানিকভাবে শুনানির প্রয়োজন হয়নি। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শান্তর মেজাজ হারানোর সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই সমালোচনা করেন এই ব্যাটারের।
এবারের বিপিএলে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন শান্ত। টুর্নামেন্টে সিলেটের বেশিরভাগ জয়েই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে তার ব্যাট। এখন পর্যন্ত ৯ ইনিংসে ব্যাটিং করে মোট ৩৫০ রান সংগ্রহ করেছেন শান্ত। টুর্নামেন্টে ১১৭.০৫ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করে যাচ্ছেন তিনি। এখন পর্যন্ত রান সংগ্রাহকদের তালিকায়, শীর্ষস্থানে আছেন টিম বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার । তার দল যেহেতু শেষ চারে উঠেছে, সেহেতু আরো বেশ কিছু ম্যাচ পাবেন তিনি। সেখানেও নিশ্চয়ই ভালো খেলতে চাইবেন তিনি।