বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ইতিহাসে সবচেয়ে সফল অধিনায়কের নাম মাশরাফি বিন মুর্তজা। ভিন্ন ভিন্ন দলের হয়ে সর্বাধিক চারটি শিরোপাজয়ী একমাত্র অধিনায়ক তিনি। এর আগে কখনো ফাইনাল না হারা মাশরাফি, এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে পরাজিত হয়েছেন। যে কারণে প্রথম শিরোপার স্বাদ পায়নি সিলেট স্ট্রাইকার্স। যদিও তাতে বিন্দুমাত্র আফসোস নেই মাশরাফির।
বিপিএলে ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ দলের তালিকা করতে গেলে, উপরের দিকে থাকবে সিলেটের নাম। একাধিকবার মালিক বদলে, বিপিএলে এসেছে চায়ের রাজ্যের দলটি। তবুও সফলতার দেখা মেলেনি আগের আসরগুলোতে। বরাবরই চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে তারা। কিন্তু এবার যেন পুরোটাই ব্যতিক্রম। মাশরাফি এসেই ভোজবাজির মত বদলে দিয়েছেন সব। টুর্নামেন্টে শুরু থেকে দাপুটে ক্রিকেট খেলেছে সিলেট। কিন্তু ফাইনালে গিয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তাদের।
তবে দলের এমন পারফরন্যান্সে মাশরাফি বেশ খুশি। তবে ফাইনালের এই হারে, রান কিছুটা কম হয়েছে বলেও মনে করছেন সিলেটের অধিনায়ক। সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ” আমি খুবই খুশি। আমাদের দল দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। আমাদের দলটা খুব ভালো। শুধু আজকের দিনটা (ম্যাচের দিন) খারাপ গেছে। ম্যাচে আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি। তবে এখন মনে হচ্ছে, ১০ – ১৫ রান কম করেছি। “
হারের জন্য আফসোস না করে, বরং তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে বেশ খুশি মাশরাফি। নিজের দলের খেলোয়াড়দের প্রশংসাও করেছেন তিনি। মাশরাফি আরো বলেন, ” এই হারে আমার কোনো আফসোস নেই। আমার দল এবং খেলোয়াড়দের নিয়ে আমি গর্বিত। তরুণ ক্রিকেটাররা চোখে পড়ার মতো পারফর্ম করেছে। এটা আমাদের দলের জন্য যেমন ভালো, তেমনি দেশের জন্যও। “
উল্লেখ্য, এবারের বিপিএলে হার দিয়ে শেষ করা মাশারাফিকে আর মাঠে দেখা কি না, তা নিয়েও আছে যথেষ্ট সংশয়। কারণ, এবারের আসরেও একবার চোটে পড়েছেন কিংবদন্তি এই পেসার। খেলতে পারেননি একাধিক ম্যাচেও। অবশ্য শেষ পর্যন্ত চোটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, মাঠে ফিরেছেন তিনি। মাশরাফির আর না খেলার বিষয়টি কিছুটা ধারণা করা হচ্ছে, গণমাধ্যমে বলা তার বাবার কথা থেকেও। তবে ব্যক্তির নাম যেহেতু মাশরাফি, তাই বিপিএলের আগামী আসরেও মাশরাফিকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।