বিবিএল ২০২১-২২ এর নকআউট ম্যাচে আম্পায়ারের বিতর্কিত কলে আউট হয়ে বিরক্ত হয়েছেন উসমান খাজা। আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্ত তার দল সিডনি থান্ডারকে টুর্নামেন্টের রেস থেকে বাদ পড়তে সাহায্য করেছে।
খাজা ইনিংসের শুরুতে ম্যাথু শর্টের বলে ফাওয়াদ আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেলে অনেক চেষ্টা করেও আর জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি থান্ডার। ফলে গতরাতের থ্রিলার ম্যাচে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের কাছে ছয় রানে পরাজিত হয় থান্ডার।
তবে মাঠের আম্পায়ার নিশ্চিত ছিলেন না যে আহমেদ খাজার ক্যাচটি সঠিকভাবে ধরতে পেরেছিল কিনা এবং তাই এটি একটি ভিডিও রিভিউতে পাঠানো হয়। কিন্তু রিভিউ দেওয়ার পর আম্পায়ারকে একটি সফট সিগন্যাল দিতে হয়, যা তিনি আউট হিসেবে দিয়েছিলেন।
রিপ্লেটি কয়েকবার দেখার পরও স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছিল না যে, বলের নীচে আহমেদের আঙ্গুল ছিল বা এটি ঘাস স্পর্শ করেছিল কিনা। ফলে থার্ড আম্পায়ারের কাছে সফট সিগন্যাল নাকচ করার মত যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় খাজাকে ২৩ রানে সাজঘরে ফেরত যেতে হয়েছিল।
সংবাদ মাধ্যমে খাজা পরে বলেন যে, তিনি মাঠে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তিনি তার সাথে এক মত ছিলেন না। কেননা তার কাছে দেখে মনে হয়েছিল বলটি ১০০% ঘাস স্পর্শ করেছিল। কিন্তু আম্পায়ার সফট সিগন্যাল হিসেবে আগে থেকেই আউট দেওয়ায় এবং থার্ড আম্পায়ার ভিডিওতে ব্যাপারটি স্পষ্টভাবে বুঝতে না পারায় তাঁকে আউট দেওয়া হয়।
মাঠের আম্পায়ার যদি সফট সিগন্যাল হিসেবে নট-আউট দিতেন তাহলে সম্ভবত থার্ড আম্পায়ারও ক্যাচটি নট আউট দিয়ে দিতেন। ফলে খাজা উইকেটে ব্যাটিং করতে পারতেন এবং দলকে জয়ের দিকে অগ্রসর করতেন।
অন্যদিকে ক্রিকেট কিংবদন্তি মাইকেল ভনও সফট সিগন্যাল নিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, যখন থেকে ক্রিকেটে সফট সিগন্যাল নিয়মটি সংযুক্ত হয়েছে, এটি সঠিক বা ভুল যাই হোক না কেন, এটি সর্বদা আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং যা খাজার বিপক্ষে গিয়েছে। তাই তিনি কখনই সফট সিগন্যালের খুব বড় ফ্যান ছিলেন না এবং তিনি শুধু প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দেন।