আধুনিক সময়ের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই মারকুটে ব্যাটিং আর ব্যাটসম্যানদের রাজত্ব। ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেটের এই যুগে বড় শট খেলা কিংবা দ্রুত রান তোলার প্রতিযোগিতায় মোটেও পিছিয়ে নেই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। এবার অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশে, তেমনই এক ব্যাটিং তান্তব দেখল বিশ্ব। অ্যারন ফিঞ্চের ব্যাটিং তান্ডবে এক ওভারেই উঠল পাক্কা ৩১ রান! এরপর থেকেই সংবাদ শিরোনামে ফিঞ্চ।
মেলবোর্ন রেনেগেডস এবং পার্থ সকার্সের মধ্যকার ম্যাচে ঘটেছে এই ব্যয়বহুল ওভারের রেকর্ড। এদিন পার্থের বোলার অ্যান্ড্রু টাইয়ের উপর চড়াও হয়েছেন মেলবোর্নের ব্যাটসম্যান ফিঞ্চ। ১৮ তম ওভারে টাই যখন বল করতে আসলেন, তখন ব্যাট হাতে স্ট্রাইক প্রান্তে ফিঞ্চ। টাইয়ের ছয়টি বলে ২টি চার এবং ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ফিঞ্চ। ডাবল নিয়েছেন দুটি। এছাড়া বাকি একটি রান আসে নো বল বাবদ। মোট ৩১ রান আসে সেই ওভার থেকে।
যদিও রেকর্ড গড়া ব্যাটিংয়েও দলকে জেতাতে পারেননি ফিঞ্চ। পার্থের দুইশোর্ধ্ব রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, শেষ পর্যন্ত ১০ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মেলবোর্নকে। মূলত পার্থের দুই ব্যাটসম্যান ক্যামেরুন বেনক্রাফট (৫০ বলে ৯৫) এবং স্টিভি এসকিনাজির (২৯ বলে ৫৪) মারকুটে ব্যাটিংয়ের কাছেই ম্লান হয়ে যায়, ফিঞ্চের ৩৫ বলে ৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটি। তবে ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনায় সেই ওভার।
ফিঞ্চের মারকুটে ব্যাটিংয়ে, বিগ ব্যাশ ইতিহাসে এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান তোলার রেকর্ড হয়ে গেল। তবে সবধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে, এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান তোলার রেকর্ডটি এখনো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দখলে (আইপিএল) দখলে। ২০২১ সালে হার্শেল প্যাটেলের এক ওভার থেকে মোট ৩৭ রান তুলে নেন রবীন্দ্র জাদেজা। সেই ওভারে ছিল ১টি চার, ৫টি ছক্কা, ১টি ডাবল এবং ১টি নো বল।
অবশ্য বাইশ গজের ময়দানে সব রেকর্ডই হয় ভাঙার জন্য। আইপিএলের ৩৭ রান কিংবা বিগ ব্যাশের ৩১ রান, কাল কিংবা পরশু ভেঙে যেতেও পারে। কারণ, টি-টোয়েন্টির জগতে ব্যাটসম্যানরা একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। সময়ের সাথে তরুণ ব্যাটসম্যানরা নিজেদের ব্যাটিং শৈল্পিকতা দেখিয়ে চলেছেন সমানতালে। বিগ ব্যাশের এই রেকর্ড তাই কতদিন থাকে, তাই দেখার পালা।
এদিকে এক সাক্ষাৎকারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফিঞ্চ বলেন ” টাইমিংটা ভালো হচ্ছিলো তাই খেলতে সমস্যা হয়নি। বল ভালোভাবে ব্যাটে এসেছিলো। তবে দল হেরে যাওয়ায় এই রেকর্ডটা তেমন উপভোগ্য হয়নি। সামনে আরো ভালো খেলতে চাই। দলের হয়ে অবদান রাখতে চাই। দলকে জিতাতে চাই। “