বার্বাডোজ রয়্যালস বনাম গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স (ম্যাচ ২২) – হাইলাইটস
সিপিএল ২০২২ এর ২২ তম ম্যাচে ব্রায়ান লারা স্টেডিয়াম, তারুবা, ত্রিনিদাদে গতকাল মুখোমুখি হয়েছিল বার্বাডোজ রয়্যালস ও গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ডিএলএস মেথডের কারনে কোনমতে ১০০ পাড় করে একটি লক্ষ্য দাড় করায় বার্বাডোজ রয়্যালস। কিন্তু সেই লক্ষ্য তারা করতে নেমে নির্ধারিত ১৬ ওভার শেষ হয়ে যাওয়ায় লক্ষ্যে পৌছাতে পারেন নেই গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স। ফলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। এই ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের প্রথমে রয়েছে বার্বাডোজ রয়্যালস এবং ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে রয়েছে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স। সেই সাথে বার্বাডোজ রয়্যালসের এর হয়ে সময় উপযোগী ব্যাটিং এবং বোলিং করে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের খেতাব জিতে নেন জেসন হোল্ডার।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেন গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স এবং বার্বাডোজ রয়্যালসকে আমন্ত্রন জানায় ব্যাটিং এর জন্য। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল ছিল না বার্বাডোজ রয়্যালসের, ৩৮ রানের মধ্যেই পড়ে যায় ৪ উইকেট। প্রথমেই ২২ রানে সাজঘরে ফেরেন রাহকিম কর্নওয়াল। ১৮ বলে ২০ রান করেছিলেন তিনি,সাথে মেরেছিলেন ২টি চার ও ১টি ছয়। এরপর ২৬ রানের মধ্যে পড়ে আরও ২ উইকেট। শূন্য রানেই মাঠ থেকে বিতাড়িত হন করবিন বোশ ও কুইন্টন ডি কক। ২০ বল খেলে মাত্র ৯ রান করে মাঠ ছাড়েন কাইল মায়ার্স।
পরবর্তী ৫ বলের মধ্যে পড়ে আরও দুই উইকেট। আজম খান করেছিলেন ১০ বলে ৮ রান এবং অধিনায়ক ডেভিড মিলার করেছিলেন ২ বলে ৪ রান। এরপর তাদের আর কোন উইকেট পড়ে নেই। তাদের হয়ে সবথেকে বেশি রান করেছিলেন জেসন হোল্ডার ৩৩ বলে ৪০ রান করেছিলেন তিনি, সাথে মেরেছিলেন ১টি চার ও ৩টি ছয়। এছাড়া ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মুজিব উর রহমান। ৯ বল খেলে মেরেছিলেন ৩টি চার ও ১টি ছয়। শেষে ৭ রান এক্সট্রা সহ ১০৭ রান করেন তারা।
গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের পক্ষে ৩ ওভারে ১৫ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন চন্দ্রপল হেমরাজ। ৪ ওভারে ১২ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন জুনিয়র সিনক্লেয়ার। এছাড়া ১টি উইকেট নেন ইমরান তাহির।
লক্ষ্য ছিল ১০৮ রানের। কিন্তু জবাবে নির্ধারিত ১৬ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮১ রানে থেমে যায় গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে তাদের শুরুটা মোটেও ভাল ছিল না। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পরতে থাকে তাদের। প্রথমেই মাঠ থেকে বিদায় নেন চন্দ্রপল হেমরাজ (৪)। এরপর মাঠ ছাড়েন পল স্টার্লিং, করেছিলেন মাত্র ১১ রান। এরপর একে একে মাঠ ছাড়েন কিমো পল (৬), শিমরন হেটমায়ার (১২), হেনরিক ক্লাসেন (৬), রোমারিও শেফার্ড(৪), জারমেইন ব্ল্যাকউড(৮), ওডিয়ান স্মিথ(১৫), ও ইমরান তাহির(৫)। এছাড়া ৭ রানে অপরাজিত ছিল জুনিয়র সিনক্লেয়ার। শেষে ৩ রান এক্সট্রা সহ ৮১ রান করে হার নিয়ে মাঠ ছাড়েন গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স।
বার্বাডোজ রয়্যালসের পক্ষে ৩ ওভারে ১২ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন রাহকিম কর্নওয়াল, ৩ ওভারে ২৪ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন ওবেদ ম্যাককয় এবং ৩ ওভারে ২১ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন রেমন সিমন্ডস। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন মুজিব উর রহমান, হেইডেন ওয়ালশ, ও জেসন হোল্ডার।
বার্বাডোজ রয়্যালস বনাম গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স এর স্কোরবোর্ড
বার্বাডোজ রয়্যালস – ১০৭/৬ (১৬.০)
গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স – ৮১/৯ (১৬.০)
ফলাফল – বার্বাডোজ রয়্যালস ২৯ রানে জয়ী (ডিএলএস মেথড)
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – জেসন হোল্ডার
বার্বাডোজ রয়্যালস বনাম গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স ম্যাচের একাদশ
বার্বাডোজ রয়্যালস | ডেভিড মিলার (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), কাইল মায়ার্স, রাহকিম কর্নওয়াল, আজম খান, করবিন বোশ, ওবেদ ম্যাককয়, জেসন হোল্ডার, মুজিব উর রহমান, হেইডেন ওয়ালশ, রেমন সিমন্ডস |
গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স | শিমরন হেটমায়ার (অধিনায়ক), হেনরিক ক্লাসেন (উইকেটরক্ষক), চন্দ্রপল হেমরাজ, পল স্টার্লিং, কিমো পল, জারমেইন ব্ল্যাকউড, ওডিয়ান স্মিথ, রোমারিও শেফার্ড, ইমরান তাহির, জুনিয়র সিনক্লেয়ার, তাবরেজ শামসি |