বার্বাডোজ রয়্যালস বনাম জ্যামাইকা তালাওয়াস (ফাইনাল) – হাইলাইটস
শিরোপা জেতার যুদ্ধে, সিপিএল ২০২২ এর ফাইনাল ম্যাচে প্রোভিডেন্স স্টেডিয়াম, গায়ানাতে আজ বাংলাদেশ সময় ভোরে মুখোমুখি হয়েছিল বার্বাডোজ রয়্যালস ও জ্যামাইকা তালাওয়াস। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে বার্বাডোজ রয়্যালস নির্ধারিত ২০ ওভারে ভাল একটি লক্ষ্য দাড় করায় বিপরীত দলের জন্য। কিন্তু সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই খুব সহজে লক্ষ্যে পৌছে যায় জ্যামাইকা তালাওয়াস। ফলে টুর্নামেন্টের বিজেতা হয় তারা। সেই সাথে জ্যামাইকা তালাওয়াস এর হয়ে অসাধারণ বোলিং করে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের খেতাব জিতে নেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেন এবং সিরিজ সেরার খেতাব পান ব্র্যান্ডন কিং।
প্লে-অফে তারা উঠেছিল কোনোমতে, চার নম্বর দল হয়ে। সেই জ্যামাইকা তালাওয়াসই দুর্দান্ত খেলে জিতলো প্লে-অফের নকআউট দুই ম্যাচ। এবার ফাইনালে এসে তারাই উড়িয়ে দিলো পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল বার্বাডোজ রয়্যালসকে।
শনিবার ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ফাইনালে কাইল মায়ার্সের বার্বাডোজকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রভম্যান পাওয়েলের জ্যামাইকা। এক ব্রেন্ডন কিং ঝড়েই একেবারে উড়ে গেছে বার্বাডোজ রয়্যালস। রান তাড়ায় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শামারাহ ব্রুকস। ফলে ১৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যও ২৩ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় জ্যামাইকা।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেন বার্বাডোজ রয়্যালস এবং জ্যামাইকা তালাওয়াসকে পাঠায় বোলিং এর জন্য। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেননি দুই ওপেনার রাহকিম কর্নওয়াল এবং কাইল মায়ার্স। ২ চার ও ৪ ছয়ের সাহায্যে ২১ বলে ৩৬ করেন রাহকিম। আর মায়ার্স ৬ চারের সাহায্যে ১৯ বলে ২৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
তবে আজম খানের ৪০ বলে ৫১ রান বার্বাডোজকে বড় অক্সিজেন দেয়। তার এই রানের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছয়। এছাড়া ১৯ বলে ১৭ করেন জেসন হোল্ডার। বাকিরা অবশ্য কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। নাজিবুল্লাহ জাদরান ১২ বলে ৬, করবিন বোশ ৫ বলে ৭, ডেভন থমাস ৩ বলে ৭, মুজিব উর রহমান ১ বলে ১ রান করেন। শেষে ৭ রান এক্সট্রা সহ ১৬২ রানের লক্ষ্য দাড় করে তারা।
জামাইকা তালাওয়াসের হয়ে ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট এবং নিকলসন গর্ডন ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া ইমাদ ওয়াসিম নেন ১ উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় জ্যামাইকা তালাওয়াজ। প্রথম ওভারেই কেনার লুইসের উইকেট হারায় তারা। তখন দলের রান মাত্র ১। গোল্ডেন ডাক করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কেনার লুইস।
তবে দলের হাল ধরেন ব্রেন্ডন কিং। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শামারাহ ব্রুকস। ৫০ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ব্রেন্ডন কিং। তার এই ইনিংসে ছিল ১৩টি চার এবং ২টি ছক্কার মার।
৩৩ বলে ৪৭ করে আউট হন শামার ব্রুকস। তার এই ইনিংসটি সাজানো ২টি ছয় এবং ৬টি চারের সাহায্যে। এই জুটিই শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেয় জ্যামাইকাকে। এর পরে ব্রুকস আউট হলে ক্রিজে আসেন রোভম্যান পাওয়েল। তিনি একটি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ১৪ করে অপরাজিত থাকেন।
জ্যামাইকা তালাওয়াজ ১৬.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলে। এটি তাদের তৃতীয় সিপিএল শিরোপা। বার্বাডোজের হয়ে কাইল মায়ার্স এবং জেসন হোল্ডার একটি করে উইকেট নেন।
বার্বাডোজ রয়্যালস বনাম জ্যামাইকা তালাওয়াস এর স্কোরবোর্ড
বার্বাডোজ রয়্যালস – ১৬১/৭ (২০.০)
জ্যামাইকা তালাওয়াস – ১৬২/২ (১৬.১)
ফলাফল – জ্যামাইকা তালাওয়াস ৮ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – ফ্যাবিয়ান অ্যালেন
প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ – ব্র্যান্ডন কিং
বার্বাডোজ রয়্যালস বনাম জ্যামাইকা তালাওয়াস ম্যাচের একাদশ
বার্বাডোজ রয়্যালস | কাইল মায়ার্স (অধিনায়ক), ডেভন থমাস (উইকেটরক্ষক), আজম খান, রাহকিম কর্নওয়াল, জেসন হোল্ডার, নাজিবুল্লাহ জাদরান, ওবেদ ম্যাককয়, মুজিব উর রহমান, রেমন সিমন্ডস, করবিন বোশ, জোশুয়া বিশপ |
জ্যামাইকা তালাওয়াস | রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), কেনার লুইস (উইকেটরক্ষক), শামারহ ব্রুকস, ব্র্যান্ডন কিং, মোহাম্মদ নবী, রেমন রেইফার, ইমাদ ওয়াসিম, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, মিগেল প্রিটোরিয়াস, ক্রিস গ্রিন, নিকোলসন গর্ডন |