নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভালো ছন্দ দেখা গিয়েছিলো বাংলাদেশ নারী দলকে। বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে খেলতে যান বাঘিনীরা। কিন্তু বিশ্বমঞ্চে গিয়েই যেন ছন্দ হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলংকার কাছে হারের পর, পরের পর্বে যাওয়ার স্বপ্ন শেষ হয় আগেই। এবার শেষ ম্যাচে এসে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও হারের তিক্ত স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার কেপটাউনে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। যেখানে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। কিন্তু আগে ব্যাটিং করে, খুব বড় সংগ্রহ পাননি তারা। নির্ধারিত ওভার থেকে মাত্র ১১৩ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হেসে – খেলেই জয় পায় প্রোটিয়ারা। তাও আবার ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
অবশ্য জ্যোতি মনে করছেন, লক্ষ্যটা আরেকটু বড় দিতে পারলে প্রোটিয়াদের চ্যালেঞ্জ জানানো যেত। হারের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ” এমন উইকেটে ১৪০ রান ভালো সংগ্রহ হতে পারতো। আমরা ভালো কোনো জুটি গড়ে তুলতে পারিনি। আগে ব্যাটিং করে ভালো লক্ষ্য ছুড়ে দিতে না পারলে, বোলারদের কাজটাও কঠিন হয়ে যায়। তারপরও আমাদের বোলাররা ভালো করেছেন। “
অবশ্য বিশ্বকাপ মিশনে নামার আগে, বাংলাদেশ অধিনায়কের কন্ঠে শোনা গিয়েছিলো আশার বাণী। এমনকি নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে, সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছেন বলেও জানান জ্যোতি। কিন্তু সেই স্বপ্ন তো পূরণ হলোই না, উল্টো দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরতে হচ্ছে বাঘিনীদের। তবে সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেননি অধিনায়ক। সবাইকে ধন্যবাদ দিয়েছেন জ্যোতি।
এ নিয়ে আরো একটি বিশ্বকাপ শূন্য হাতে শেষ হলো বাংলাদেশের। বড় কোনো অর্জন নেই, জয়ের দেখাটাও পাচ্ছে না তারা। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জয়ের মুখ দেখেছে সেই প্রথম আসরে, ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে। সেবার স্বাগতিক হিসেবে খেলতে নেমে, দুটি ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশ। এবার সম্ভাবনা জাগিয়েও হতাশ করেছে বাঘিনীরা। তাই তো, অপেক্ষাটাও আরো দীর্ঘ হলো। তবে আগামীতে ভালো করার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।