বাংলাদেশের ব্যাটার আফিফ হোসেনের পায়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বল ছুড়ে মারার অপরাধে পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে জরিমানা করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ কেটে নেয়া হয়েছে আফ্রিদির। একই সঙ্গে তাঁকে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও জরিমানা করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের তৃতীয় ওভারে। আফ্রিদির করা ঐ ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে দর্শনীয় শটে এক বিশাল ছক্কা মারেন আফিফ। পরের বলে ফলো থ্রু খেলেন আফিফ। ওই বলে কোনো রান নেওয়ার ইচ্ছা প্রদর্শন করেননি বাংলাদেশের এই ব্যাটার। অথচ বল কুড়িয়ে নিয়ে সেটিকে আফিফের পায়ে ছুড়ে মারেন শাহিন আফ্রিদি।
এ অপরাধ সংঘটিত করে আইসিসির খেলোয়াড় এবং খেলোয়াড়দের সমর্থনকারী ব্যক্তিদের জন্য আচরণবিধির ২.৯ ধারা লঙ্ঘন করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। আচরণবিধিতে বলা হয়েছে যে, যদি কোনো খেলোয়াড় ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন অন্য কোনো খেলোয়াড়, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি, কোনো সাপোর্ট স্টাফ বা অন্য কোনো তৃতীয় ব্যক্তির দিকে বিপজ্জনক এবং/অথবা অনুপযুক্ত উপায়ে বল বা অন্য কোনো ক্রিকেট সরঞ্জাম নিক্ষেপ করে, তাহলে সেটা নিয়ম লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হবে।
এ ঘটনায় শাহিন শাহ আফ্রিদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন অন ফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও সোহেল তানভীর, তৃতীয় আম্পায়ার মাসুদুর রহমান ও চতুর্থ আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। আফ্রিদি তার অপরাধ স্বীকার করায়, আইসিসির কোভিড-19 নীতিমালা অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
শাহিন শাহ আফ্রিদির এ কর্মকাণ্ডকে আচরণবিধির লেভেল-১ লঙ্ঘন হিসেবে ধরা হয়েছে। যে কারণে ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানার সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ মাসের মধ্যে এটাই আফ্রিদির প্রথম অপরাধ। যদি কোনো ক্রিকেটার উল্লিখিত সময়ের মধ্যে চার বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পায়, তাহলে সেগুলোকে সাসপেনশন পয়েন্টে রূপান্তরিত করা হবে এবং তার ফলশ্রুতি ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করা হবে। দুটি সাসপেনশন পয়েন্টের জন্য একটি টেস্ট বা দুটি ওয়ানডে বা দুটি টি-টোয়েন্টি থেকে বাদ দেওয়ার বিধান রয়েছে।
ক্রিকেট বিশ্বের আরও আকর্ষণীয় খবরের জন্য Baji -র সাথেই থাকুন!