আগামী ২৮ জুন দেশ ছেড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল। জুলাইয়ে ক্যারিবীয় অঞ্চলে পাঁচ টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে তারা। এরপর ২ থেকে ১০ আগস্টের মধ্যে বাংলাদেশে এসে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা তাদের। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া দলে পরিচিত অনেক মুখই দেখা যাবে না এই সফরে। বাংলাদেশে যে দল আসবে, তাতে থাকবেন না ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, প্যাট কামিন্স, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, কেইন রিচার্ডসন, ড্যানিয়েল স্যামস ও ঝাই রিচার্ডসন।
অস্ট্রেলিয়ার সীমিত ওভারের ক্রিকেটের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের ধারণা, এভাবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে সরে যাওয়ার পক্ষে যুক্তি আছে এই ক্রিকেটারদের। কিন্তু যাঁরা জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে সরে গেছেন, তাঁরাই যদি আবার সেপ্টেম্বরে আইপিএল খেলতে চান, তাহলে তা যুক্তিসংগত হবে না।
আইপিএলে অনেক দিন জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকা, এরপর কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে হঠাৎ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়া এবং দেশে ফেরার সময় দেশটির সরকারে কমপক্ষে ১৪ দিন অন্য কোথাও সময় কাটানোর নীতি যে খেলোয়াড়দের মনে প্রভাব ফেলেছে, সেটা বুঝতে পারছেন ফিঞ্চ। কিন্তু এই ওপেনার কাছে দেশের হয়ে খেলাটাই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
দুই সিরিজে যাঁরা থাকছেন না, তাঁদের মধ্যে সাবেক অধিনায়ক স্মিথ কনুইয়ে চোট পেয়েছেন। ওদিকে আইপিএল খেলতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়া স্যামস আগেই নির্বাচকদের কাছে তাঁকে না রাখার অনুরোধ করেছেন। আর ফিঞ্চ বলছেন, বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজের কথা মাথায় রেখে ওয়ার্নার ও কামিন্সকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বাদবাকি ক্রিকেটারদের সরে যাওয়া চমকে দিয়েছে ফিঞ্চকে। এ কারণে ড্যান ক্রিস্টিয়ান, বেন ম্যাকডারমট ও অ্যাশটন টার্নারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সে সঙ্গে এখনো অভিষেক না হওয়া পেসার ওয়েস অ্যাগারকেও নেওয়া হয়েছে দলে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলের শক্তি বুঝতে চাওয়ার জন্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের সঙ্গে ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলছে অস্ট্রেলিয়া। এ অবস্থায় মূল দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারকে না পাওয়া যে ফিঞ্চকে হতাশ করছে।
আইপিএলে বহুবার ভিন্ন ভিন্ন দলের হয়ে অংশ নিয়েছেন ফিঞ্চ। অবশ্য এবারের সংস্করণে নেয়া হয়নি তাকে। অসি অধিনায়কের মতে, খেলোয়াড়েরা যদি আইপিএলের জন্য আসন্ন ট্যুরগুলো মিস করেন তাহলে এর কোনো ন্যায্যতা নেই।
আরও উত্তেজনাপূর্ণ ক্রিকেট আপডেটের জন্য, baji.live এ চোখ রাখুন!