দুই দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে বাংলাদেশে এসেছেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসির সভাপতি গ্রেগ বার্কলে। বাংলাদেশ সফরকালে তিনি বিসিবির বেশ কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন পরিদর্শন করেন। নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে চা বাগানে মোড়ানো অনিন্দ্য সুন্দত সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সবই ঘুরে ফিরে দেখেছেন বার্কলে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎও করেছেন ক্রিকেটের সর্ব্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সভাপতি।
সফরকালে বাংলাদেশে চলমান বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি দেখেতে মাঠে যান বার্কলে। সেখানে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বিসিবির কর্মকর্তাবৃন্দ। বার্কলে যখন মাঠে আসেন তখন শ্রীলঙ্কার পেস অ্যাটাক সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে মুমিনুল হকের দল। ২৪ রানের মধ্যেই দলের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি উইকেট হারিয়ে দিশেহারা টাইগাররা।
দলের বিপর্যয় সামলে ২৫৩ রানের জুটি গড়ে দিন শেষ করেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। দুইজনের সেঞ্চুরিতে ম্যাচে ফিরে টাইগাররা। সেই মূহুর্তে বার্কলেকে নিয়ে হেলিকপ্টারে সিলেটে যান বিসিবি বস। ম্যাচের আপডেট জানতে পাপনকে তখন ক্ষুদে বার্তা পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এমন ক্রিকেট প্রেম দেখে নাকি চমকে গেছে খোদ আইসিসি সভাপতিও।
পাপন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী খেলার কী অবস্থা জিজ্ঞেস করেছেন। আমি বলেছি, “আপা খেলা দেখার সাহস নেই। মাঠে না গিয়ে খবর শুনছি না।” মাঠে এসে চমকে গেছি। মুশফিক ও লিটন যেভাবে খেলেছে বিশেষ বাহবা প্রাপ্য তাদের। ২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর মুশফিক ও লিটন যেভাবে চাপ সামলেছে এটা অসাধারণ।‘
পাপন আরো বলেন, ‘আমি নিশ্চিত বার্কলে চমকে গেছেন, একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট এতোটা ভালোবাসতে পারেন এটা ভেবে। উনার আজ মেডিকেল অ্যাপোয়েনমেন্ট ছিল, কিন্তু উনি আগে আইসিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছেন। যখন হেলিকপ্টারে ছিলাম তখনও লিটন–মুশফিকের সেঞ্চুরির পর এসএমএস দিয়েছেন।’
ম্যাচের প্রথম দিকের অংশবিশেষ দেখে আক্ষেপ ঝরেছে বিসিবি বসের কন্ঠ থেকে। মজার ছলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগে কার্ডিওলজিস্টের কাছে যাই (হাসি), কালকে কথা বলবো। ওই সময় মাঠে থাকলে হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেত। আল্লাহর রহমত, আমি ছিলাম না।’