Skip to main content

প্রতিদিন দুই ডজন ডিম খান হারিস রউফ

প্রতিদিন দুই ডজন ডিম খান হারিস রউফ

বরাবরই পেস বোলার তৈরির কারখানা হিসেবে পরিচিত পাকিস্তান। যুগে যুগে একের পর এক পাকিস্তানি পেসার বিশ্ব শাসন করে আসছেন। সেকালের ওয়াসিম আকরাম কিংবা বর্তমানের শাহিন শাহ আফ্রিদি, ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্কের নাম। তারমধ্যে বর্তমান সময়ে ত্রাস সৃষ্টিকারী আরেক পেসার হারিস রউফ। নেট বোলার থেকে বিশ্বতারকা হওয়ার মাঝে, অভিনব এক গল্পও আছে তার।

ক্রিকেটে পারফর্ম করার অন্যতম শর্ত  খেলোয়াড়দের ফিটনেস। আর সেই ফিটনেস ঠিক রাখতে, একেকজনের একেক রুটিন দেখা যায়। এবার রউফ জানালেন, ফিটনেস ঠিক রাখতে প্রতিদিন ২৪টি করে ডিম খান তিনি। নিয়ম করে সকালে ৮টি, দুপুরে ৮টি এবং রাতে ৮টি ডিম খাওয়ার অভ্যাস করেছেন অনেক আগে থেকেই। রউফ এই নিয়ম শিখেছেন, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার আকিব জাভেদের কাছ থেকে।

নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক সাক্ষাতকারে বিস্ময়কর এই তথ্য দেন রউফ। তিনি বলেন, ” আমি যখন প্রথম ক্রিকেট একাডেমীতে যাই, তখন আমার ঘরটি যেন ডিম দিয়ে ভর্তি ছিল। মনে হয়েছে আমি কোনো পোল্ট্রি খামারে ঢুকে পড়েছি। উনি (জাভেদ) আমাকে বলেছেন, উচ্চতার সঙ্গে আমার ওজনের সমন্বয় রাখতে। এরপর থেকেই তার পরামর্শে ডিম খাওয়া শুরু করি।

অবশ্য জাভেদ সেই পরামর্শ দেওয়ার যথাযথ কারণও আছে। রউফ যখন একাডেমীতে যান, তখন তার ওজন ছিল ৭২ কেজি। যা তার উচ্চতার সঙ্গে মোটেই মানানসই নয়। এরপর ফিটনেস নিয়ে সচেতন হয়েছেন এই পেসার। পরবর্তীতে উচ্চতার সঙ্গে সমন্বয় করে ওজন বাড়ান তিনি। বর্তমানে রউফের ওজন ৮২ কেজি। অবশ্য ফিটনেসের পরিবর্তন এনে, মাঠের খেলায় বেশ সুফলও পেয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন রউফ। এরপর থেকে পাকিস্তানের জার্সিতে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ১৫টি ওয়ানডে খেলে, উইকেট শিকার করেছেন ২৯টি। এছাড়া ৫৭টি টিটোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। যেখানে তার ঝুলিতে আছে ৭২টি উইকেট। বর্তমানে ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছেন পাকিস্তানি পেসার। দেশটির বোলিং বিভাগের অন্যতম কান্ডারীও হয়ে উঠেছেন তিনি।

আরো আজকের ট্রেন্ডিং

বিবিএল ২০২৪-২৫-এ সেরা তরুণ বিবিএল তারকাদের জন্য নজর রাখা: উদীয়মান প্রতিভার পরবর্তী প্রজন্ম

বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) তার ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ক্রিকেট ভক্তদের একটি নতুন প্রজন্মের ক্রিকেট প্রতিভা কামনা করছে। বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার তরুণ ক্রিকেটার বিবিএলে তাদের...

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর ইতিহাসে সেরা পাঁচ উইকেট-শিকারী: ঐতিহাসিক পর্যালোচনা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০১২ সালে শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি-ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগটি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি...

বিবিএল ২০২৪-২৫-এ সেরা বোলিং স্পেল: পেসার বনাম স্পিনাররা

বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) রোমাঞ্চকর ক্রিকেটিং অ্যাকশন নিয়ে আসে এবং বোলাররা প্রায়শই খেলা পরিবর্তনকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়। ব্যাটাররা যখন লাইমলাইট দখল করে, বোলাররা ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে। পেসার এবং স্পিনারদের...

পরিবেশবান্ধব হচ্ছে ক্রিকেট: বিপিএল ২০২৫ এর স্থায়িত্ব উদ্যোগ প্রকাশিত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনাপূর্ণ ক্রিকেট মঞ্চ হিসেবে পরিচিত, যেখানে সেরা খেলোয়াড়রা দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ভক্তদের রোমাঞ্চিত করে। কিন্তু যখন বিশ্ব আরও স্থায়ী ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন...