পিবিকেএস বনাম এলএসজি এর ম্যাচ হাইলাইটস
শুক্রবার আইপিএল ২০২২ এর ৪২তম ম্যাচে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের (পিবিকেএস) বিপক্ষে ২০ রানের এক দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস (এলএসজি)। সেই সাথে স্ট্যান্ডিংয়ের ৩য় স্থানে উঠে এসেছে এলএসজি।
টসে জিতে পিবিকেএস এর অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল ফিল্ডিং করার সিধান্ত নেন এবং এলএসজি’কে ব্যাটিং করতে পাঠান। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক কেএল রাহুলকে হারায় এলএসজি। ১১ বলে মাত্র ৬ রান করে কাগিসো রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন রাহুল।
তবে শুরুর সেই ধাক্কা দারুণভাবে সামলে নিয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক। দীপক হুদাকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৯ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন তিনি।
কিন্তু ডি কক (৩৭ বলে ৪৬) সন্দ্বীপ শর্মার বলে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হলে আবারও ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে এলএসজি। পরের ওভারে রানআউটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরে যান হুদা (২৮ বলে ৩৪)। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট তুলে নিতে থাকে পিবিকেএস।
ক্রুনাল পান্ডিয়া (৭), মার্কাস স্টয়নিস (১), আয়ুস বাদোনিরা (৪) উইকেটে এসেছেন আর ফিরে গেছেন। এক ঝটকায় ১ উইকেটে ৯৮ থেকে ৬ উইকেটে ১১১ রানে পরিণত হয় এলএসজি’র স্কোরবোর্ড। ১৩ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তাঁরা।
সেখান থেকে শেষের ব্যাটারদের অবদানে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানের লড়াকু পুঁজি সংগ্রহ করে এলএসজি। জেসন হোল্ডারের ৮ বলে ১১, দুষ্মন্ত চামিরা ১০ বলে ১৭ এবং মহসিন খানের ৬ বলে অপরাজিত ১৩ রানের ছোট ইনিংসগুলোর সৌজন্যেই ১৫০ রান পার করতে পারে এলএসজি।
পিবিকেএস এর হয়ে পেসার কাগিসো রাবাদা ৪ ওভারে ৩৮ রান দিলেও তুলে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। এছাড়া রাহুল চাহার ২টি এবং সন্দ্বীপ শর্মা ১টি উইকেট শিকার করেন।
১৫৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এলএসজি’র বোলারদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান তুলতেই থেমে যায় পিবিকেএস এর ইনিংস। পিবিকেএস এর ব্যাটারদের মধ্যে অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগারওয়াল (১৭ বলে ২৫) আর জনি বেয়ারস্টো (২৮ বলে ৩২) ছাড়া বলার মতো কেউ ভালো স্কোর তুলতে পারেনি।
চতুর্থ উইকেটে লিয়াম লিভিংস্টোন ও বেয়ারস্টোর ২৫ বলে ৩০ রানের জুটি পিবিকেস’কে জয়ের আশা জাগালেও লিভিংস্টোন (১৬ বলে ১৮ রান) সাজঘরে ফিরে গেলে সেই আশা শেষ হয়ে যায়। ৯২ রানের মধ্যে ইনিংসের অর্ধেকটা খুইয়ে ফেলা দলটি ১৮ ওভারে ১১৭ রানে ৮ উইকেট হারালে আর ম্যাচে উত্তেজনা তৈরি হয়নি।
এলএসজি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন মহসিন খান। ২৪ রানে ৩টি উইকেট শিকার করেন এই পেসার। এছাড়া মিতব্যয়ী বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে ফেলেন দুষ্মন্ত চামিরা এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া। চামিরা ৪ ওভারে ১৭ রান এবং পান্ডিয়া ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট তুলে নেন। এছাড়া রবি বিষ্ণয় ১টি করে উইকেট তুলে নেন।
নয় ম্যাচে ছয় জয় ও তিন হার নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩য় স্থানে উঠে এসেছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। অপরদিকে, নয় ম্যাচে ৪ জয় ও ৫ পরাজয় নিয়ে পাঞ্জাব কিংস এখন স্ট্যান্ডিংয়ের ৭ম স্থানে অবস্থান করছে।
পিবিকেএস বনাম এলএসজি এর স্কোরবোর্ড
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস – ১৫৩/৮ (২০.০)
পাঞ্জাব কিংস – ১৩৩/৮ (২০.০)
ফলাফল – লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ২০ রানে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – ক্রুনাল পান্ডিয়া
পিবিকেএস বনাম এলএসজি এর ম্যাচের এওয়ার্ড
এওয়ার্ড এর নাম | খেলোয়াড়ের নাম | দল |
সুপার স্ট্রাইকার অফ দ্য ম্যাচ | দুষ্মন্ত চামিরা | এলএসজি |
গেমচেঞ্জার অফ দ্য ম্যাচ | কাগিসো রাবাদা | পিবিকেএস |
লেট’স ক্র্যাক ইট সিক্স | লিয়াম লিভিংস্টোন | পিবিকেএস |
ফাস্টেস্ট ডেলিভারি অফ দ্য ম্যাচ | মহসিন খান | এলএসজি |
মোস্ট ভ্যালুয়েবল এসেট অফ দ্য ম্যাচ | মহসিন খান | এলএসজি |
পাওয়ার প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ | দুষ্মন্ত চামিরা | এলএসজি |
অন-দ্য-গো ৪’স অফ দ্য ম্যাচ | জনি বেয়ারস্টো | পিবিকেএস |
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ | ক্রুনাল পান্ডিয়া | এলএসজি |