পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) নবম আসরে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলছেন মোহাম্মদ নওয়াজ। ভালো খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাঠে নামলেও, টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে জয় পায়নি তার দল। প্রথম ম্যাচে দলের হারের দিন, তারকা এই অলরাউন্ডার ছিলেন ব্যাটে – বলে ছন্দহীন। ধীরগতির ব্যাটিংয়ের সঙ্গে, খরুচে বোলিংয়ে উইকেটশূন্য। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই জয় তুলে নেয় কোয়টা গ্লাডিয়েটর্স। এবারের আসরে শিরোপা জেতার অন্যতম দাবিদারও এই দলটি। পিএসএলকে তরুণদের তৈরি হওয়ার মঞ্চ মনে করছেন কোয়েটার অলরাউন্ডার নওয়াজ।
ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি–টোয়েন্টি লিগগুলোর অন্যতম উদ্দেশ্য, দর্শকদের বিনোদন দেওয়া। চার – ছক্কার ফুলঝুরিতে উল্লাসে গলা ফাটান দর্শকরা। তবে শুধু এই উদ্দেশ্য নিয়েই প্রতিটি দেশে লিগ শুরু হয় না। খেলোয়াড় তৈরি এবং নতুন প্রতিভাবান খু্ঁজে আনার ক্ষেত্রেও বড় একটি ভূমিকা রাখে এসব লিগ। অন্যান্য দেশের লিগগুলোর মতো পিএসএলেও দেখা মেলে, প্রতিভার ছড়াছড়ি।
পাকিস্তানে এখন চলছে পিএসএল এর অষ্টম আসর। এরমধ্যে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার উঠে এসেছেন এই লিগ থেকে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো পাকিস্তানের আনাচে কানাচে তরুণ ক্রিকেটারদের খুঁজে বের করে, দলে সুযোগ করে দেয়। ধীরে ধীরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফর্ম করে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও রাজত্ব করছেন অনেকে। তাই তো এই পিএসএলকে তরুণদের জন্য বড় সুযোগ বলছেন নওয়াজ।
কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের এই ক্রিকেটার বলেন, ” আমি পিএসএলে খেলেই ক্যারিয়ারে নতুন মোড় পেয়েছি। এখানে অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটারের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছি। তাদের অভিজ্ঞতা নিয়েছি। তাদের সঙ্গে খেলে সাহস বেড়েছে। তরুণরা বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুত হতে, পিএসএল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এখানে নিজেদের দক্ষতা এবং মেধার বিকাশ করা যায়। তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রতিযোগ করতে পারলে, সাহস বাড়ে। “
এদিকে প্রথম ম্যাচে দলের জন্য অবদান রাখতে না পারলেও, বর্তমানে ভালো ছন্দে আছেন নওয়াজ। সম্প্রতি খেলেছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। যেখানে রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন তিনি। এবার কোয়েটার হয়ে লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাট হাতে ঝড় তোলার পাশাপাশি, বল হাতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে বদ্ধপরিকর এই অলরাউন্ডার।