ক্রিকেট এখন যতোটা খেলা তারচেয়েও যেন বেশি বানিজ্যিক ব্যাপার হয়ে গেছে। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ। সেই ব্যস্ততার কারণে দৌঁড়ের উপর আছেন ক্রিকেটাররা। এক দেশ থেকে আরেক দেশে খেলতে যাওয়া, ভ্রমণ ক্লান্তি কাটিয়ে আবার পারফর্ম করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় ক্রিকেটারদের জন্য। সাকিব আল হাসানের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলতে গিয়ে প্রথম ম্যাচেই সাদামাটা তিনি।
মঙ্গলবার রাতে করাচি কিংসের বিপক্ষে পেশোয়ার জালমির হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন সাকিব। টসে হেরে আগে ব্যাটিং করে সাকিবের দল। কিন্তু নিজের পছন্দের পজিশন এবং ঠিকঠাক ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। উপরের দিকে বাবর আজমদের দৃঢ় ব্যাটিংয়ের কারণে মাত্র একটি বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন সাকিব। সেই বলে করেছেন ১টি রান।
৭ নম্বরে নেমে সাকিব ঠিকঠাক ব্যাটিং করতে না পারলেও, ১৯৯ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে তার দল। যদিও বল হাতেও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেননি তিনি। বাঁহাতি অফস্পিনে সাকিবের যে ধারালো রূপ, সেটা দেখা যায়নি পেশোয়ারের জার্সিতে। ৩ ওভার বল করে ৩২ রান খরচ করেছে সাকিব। ব্যয়বহুল বোলিং তো বটেই, সেইসাথে কোনো উইকেটেরও দেখা পাননি তিনি।
যদিও সাকিবের ব্যয়বহুল বোলিংয়ের জন্য মাশুল দিতে হয়নি পেশোয়ারকে। কারণ, তাদের দেওয়া ২০০ রানের পাহাড়সহ লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছে করাচি। তবে শেষ পর্যন্ত সমানে সমান লড়াই করেছেন ইমাদ ওয়াসিমরাও। ওভার শেষ হওয়ার আগে তারাও ১৯৭ রান করে ফেলেছে, ৫ উইকেট হারিয়ে। মাত্র ২ রানের ব্যবধানে হেরে যাওয়ায়, শোয়েব মালিকের দৃষ্টিনন্দন অর্ধশতকটাও বৃথা গেল।
তবে বড় টার্গেট দিয়েও মাত্র ২ রানের জয়ে, সন্তুষ্ট হতে পারছেন না বাবর। সাকিবদের অধিনায়কের মতে, ফিল্ডিং এবং ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হতে হবে তাদের। তবে এখনই দলের কাউকে দোষারোপ করছেন না বাবর। এসব ভুলত্রুটি কাটিয়ে, আগামী ম্যাচগুলোর দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন তিনি। পেশোয়ার অধিনায়ক ভরসা রাখছেন, নিজের উপর এবং তার সতীর্থদের উপর।