পাকিস্তান বনাম হংকং (ম্যাচ ৬) – হাইলাইটস
ভারত ও পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দুটি দলের সঙ্গী হওয়ায় এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে হংকংয়ের বিদায় অনেকটা অনুমিতই ছিল। ব্যবসায়ী, ছাত্র ও ডেলিভারিম্যানের সমন্বয়ে গঠিত দলটি বড় ধরনের কোনো অঘটন ঘটাতে পারেনি। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের পর তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি।
১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে নিজাকত বাহিনী। ১৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অলআউট হয়েছে মাত্র ৩৮ রানে। হংকংয়ের বিদায়ে চতুর্থ ও শেষ দল হিসেবে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের টিকিট পেল পাকিস্তান।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ২ ওভারে ১৬ রান তুলে হংকং। এরপর রীতিমতো উইকেটের মিছিল চলতে থাকে। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন নিজাকত। নাসিম শাহের শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে তিনি করেন ৮ রান।
ওয়ানডাউনে নামা বাবর হায়াত ৪ বল মোকাবিলা করেও স্কোর বোর্ডে কোনো রান যোগ করতে পারেননি। তিনিও নাসিমের বলেই পরাস্ত হন। আইজাজ খান দেখে দেখে ৫ বল খেলে ১ রান করলেও পরের বলেই উইকেট বিলিয়ে দেন, উল্লাসে মাতেন শাদাব খান।
এরপর দলীয় ৩০ রানে কিঞ্চিৎ শাহ, ৩১ রানে স্কট ম্যাককিনি ও ৩৬ রানে হারুন আরশাদ প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এদের মধ্যে কিঞ্চিৎ ও ম্যাককিনির উইকেট নেন মোহাম্মদ নওয়াজ। বাকিদের মধ্যে জিশান আলি ৩ ও আয়ুশ শুকলা ১ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে শাদাব খান ৮ রানে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া মোহাম্মদ নওয়াজ ৩টি, নাসিম শাহ ২টি এবং শাহনওয়াজ ধানী ১টি করে উইকেট তুলে নেন।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৯৩ রান করে পাকিস্তান। এটি এবারের এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংসের প্রথম ওভারটি দুর্দান্তভাবে শেষ করেন হারুন আরশাদ। ৪টি ডট বল দেন তিনি, খরচ করেন মাত্র ২ রান। পরের ওভারে পাকিস্তান তুলে ৫ রান।
হংকং অধিনায়ক নিজাকাত খান পরের ওভার করতে ডাকেন এহসান খানকে। প্রথম ২ বলে ২ রান দিলেও তৃতীয় বলে এহসান তুলে নেন বাবর আজমকে। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন তিনি। আউট হওয়ার আগে পাকিস্তান দলপতি ৮ বলে করেন ৯ রান।
বাবর আজম আউট হয়ে গেলে ক্রিজে আসেন ফখর জামান। রিজওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাওয়ার প্লে শেষে মন্থর গতির ব্যাটিংয়ের বাইরে যেতে পারেননি তিনি। পাওয়ার প্লে শেষে স্কোর বোর্ডে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪০ রান।
মোহাম্মদ গজানফরের করা নবম ওভারে ফখরকে আউট দেন আম্পায়ার। তবে পাকিস্তানি ব্যাটার রিভিউ নিলে দেখা যায় বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে, ফখরও বেঁচে যান, ফিরতে হয়নি প্যাভিলিয়নে। দলীয় ১৪তম ওভার থেকে কিছুটা মেরে খেলতে চেষ্টা করে রিজওয়ান ও ফখর জুটি। দুজনই পান হাফসেঞ্চুরির দেখা।
৪২ বলে অর্ধশত পূর্ণ করেন রিজওয়ান। ৪১ বলে ৫৩ রান করে ফখর আউট হন এহসান খানের বলে। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মার। শেষ পর্যন্ত ৭৮ রানে অপরাজিত থাকা রিজওয়ানের ৫৭ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চার ও একটি ছয়ের মার। খুশদিল শাহের ব্যাট থেকে ১৫ বলে আসে ৩৫ রান।
পাকিস্তান বনাম হংকং এর স্কোরবোর্ড
পাকিস্তান – ১৯৩/২ (২০.০)
হংকং – ৩৮/১০ (১০.৪)
ফলাফল – পাকিস্তান ১৫৫ রানে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – মোহাম্মদ রিজওয়ান
পাকিস্তান বনাম হংকং ম্যাচের একাদশ
পাকিস্তান | বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেট রক্ষক), ফখর জামান, খুশদিল শাহ, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, আসিফ আলী, হারিস রউফ, শাহনওয়াজ ধানী, এবং নাসিম শাহ। |
হংকং | নিজাকত খান (অধিনায়ক), স্কট ম্যাককেনি (উইকেট রক্ষক), ইয়াসিম মুর্তজা, কিঞ্চিত শাহ, বাবর হায়াত, জিশান আলী, হারুন আরশাদ, আইজাজ খান, এহসান খান, মোহাম্মদ গজানফর, এবং আয়ুশ শুক্লা। |