পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ (ম্যাচ ৪১) – হাইলাইটস
রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৪১ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ। ঐ ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে কোনোরকম একটি পুঁজি দাড় করায় সাকিব আল হাসানের দল। কিন্তু সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। অন্যদিকে ভারতের সাথে সেমিফাইনালে প্রবেশ করল পাকিস্তান এবং বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ। এছাড়া পাকিস্তানের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের খেতাব জিতে নেন শাহীন আফ্রিদি।
শুরুর মতো হলো না শেষটা। লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত কিংবা সৌম্য সরকাররা যেভাবে শুরু করেছিলেন, কিংবা প্রথম ১০ ওভার যেভাবে খেলেছিলো বাংলাদেশ, শেষটা তেমন হলো না। বাংলাদেশের রান যেখাকে কম করে ১৫০ হওয়ার কথা, সেখানে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ থেমে গেল ১২৭ রানে।
অ্যাডিলেড ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। প্রথমে মাঠ থেকে বিদায় নেন লিটন দাস। করেছিলেন ৮ বলে ১০ রান। এরপর আর ১০ ওভারের মধ্যে আর কোনো উইকেট পড়েনি, ১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ১ উইকেট হারিয়ে ৭০। ওই সময় দেয়া হয় পানি পানের বিরতি। এরপরই সব পাল্টে যায়।
১১তম ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন শাদাব খান। সৌম্য সরকার আর সাকিব আল হাসান। শাদাব খানের বলে শান মাসুদের হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য সরকার। ১৭ বলে ২০ রান করে আউট হন তিনি। সৌম্য সরকারের পর সাকিব আল হাসান ব্যাট করতে নেমেই বিতর্কিত এলবিডব্লিউ আউটের শিকার হলেন। এরপরই পুরোপুরি ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ।
সাকিবের পর বিদায় নেন আরও এক ব্যাটার। নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৮ বলে ৫৪ রান করে আউট হন। ৭টি বাউন্ডারির মার মারেন তিনি। শান্ত আউট হয়ে যাওয়ার পর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৫, নুরুল হাসান সোহান ০, তাসকিন আহমেদ ১, নাসুম আহমেদ ৭ রান করে আউট হন। ২০ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
এরই ফাঁকে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংটা করে নিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। ২ উইকেট নেন শাদাব খান এবং ১টি করে উইকেট নেন হারিস রউফ এবং ইফতিখার আহমেদ।
১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর কিছু মিস ফিল্ডিংয়ের সুবাধে খুব হিসেব করেই ব্যাট করেছিল পাকিস্তান এবং ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে তারা।
জয়ের জন্য লক্ষ্যটা ছিল খুবই সহজ। বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটি এমন ম্যাচ কোনো উইকেট না হারিয়েই জিতে যান। তবে, প্রথম ওভারেই তাসকিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু বলটি হাতের তালুতে জমাতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান।
সেই রিজওয়ান ৩২ বলে ৩২ রান করে আউট হন। ওপেনিং জুটিতে পাকিস্তান তোলে ৫৭ রান। ৩৩ বলে ২৫ রান করে আউট হয়ে যান বাবর আজম। মোহাম্মদ নওয়াজ ব্যাট করতে নামেন ওয়ানডাউনে। মাঠে নেমেই রানআউটের শিকার হলেন তিনি। করলেন কেবল ৪ রান।
মোহাম্মদ হারিস ১৮ বলের ছোট্ট ঝড় তোলেন। তিনি করেন ৩১ রান। সাকিবের বলে নাসুম আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। ইফতিখার আহমেদ ১ রান করে আউট হয়ে যান। এছাড়া ১৪ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন শান মাসুদ। শেষে ১১ রান এক্সট্রা সহ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা।
পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ এর স্কোরবোর্ড
পাকিস্তান – ১২৮/৫ (১৮.১)
বাংলাদেশ – ১২৭/৮ (২০.০)
ফলাফল – পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – শাহীন আফ্রিদি
পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের একাদশ
পাকিস্তান | বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), শান মাসুদ, মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ নওয়াজ, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শাদাব খান, হারিস রউফ, নাসিম শাহ, শাহীন আফ্রিদি |
বাংলাদেশ | সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন, এবাদত হোসেন, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান। |