পাকিস্তান সুপার লিগের ( পিএসএল ) অষ্টম আসর মাঠে গড়াবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি। আর তার আগে একটি প্রদর্শনী ম্যাচের আয়োজন করে পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। সরফরাজ আহমেদের কোয়েটার গ্ল্যাডিয়েটর্সের এই প্রীতি ম্যাচে তাদের মুখোমুখি হয় বাবর আজমের পেশোয়ার জালমি। পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের এক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এই ম্যাচটি। আর এই ম্যাচ চলাকালীন এক ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ হয় স্টেডিয়ামের খুব কাছেই।
পাকিস্তানের সংবাদ সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ভয়াবহ এই বোমা বিস্ফোরণ হয়। আর ঘটনাটি ঘটে পিএসএলের প্রদর্শনী ম্যাচ চলাকালীন সময়ে। স্টেডিয়াম থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব খুব বেশি নয়। বাবর আজমদের এই ম্যাচের জন্য গোটা শহর ছিল কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে। কিন্তু এর পরেও আত্মঘাতী এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপরেই ক্রিকেটের জন্য পাকিস্তান নিরাপদ কিনা এমন প্রশ্ন উঠেছে জোরেশোরেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা, সমালোচনা আর নিন্দার ঝড়।
বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন পাঁচজন। পিএসএলের সেই প্রীতি ম্যাচটিতে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের বর্তমান অধিনায়ক বাবর আজম এবং সাবেক অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদির মতো তারকা ক্রিকেটাররা। ঘটনার পরেই বাবর আফ্রিদিসহ অন্যান্য ক্রিকেটারদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। আর কিছু সময়ের জন্য ম্যাচটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আর এরপরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যদিও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ম্যাচ শুরু করা হয়।
পুলিশি এক বার্তায় জানানো হয়, ” স্টেডিয়ামের কয়েক মাইল দূরেই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে। আর এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় খেলোয়াড়দের জন্য। নিরাপত্তা বিবেচনায় ম্যাচটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। মাঠ থেকে খেলোয়াড়দের সরিয়ে ড্রেসিংরুমে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সবুজসংকেত পাওয়ার পর ম্যাচটি যেখানে বন্ধ হয়েছিল সেখান থেকেই আবার শুরু হয়। ”
বিস্ফোরণে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কোনো সংযোগ আছে। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে, নিষিদ্ধ তেহরিক – ই – তালেবান পাকিস্তান ( টিটিপি ) হামলার দায় স্বীকার করেছে। নিরাপত্তা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে এই বোমা বিস্ফোরণ করা হয়েছে বলেও জানা যায়। উল্লেখ্য, নাজুক পরিস্থিতি এবং ক্রমাগত হামলার হুমকির জন্য গত কয়েক বছর কোয়েটা কোনো খেলাধুলার সাক্ষী হয়নি। কিন্তু এবার পিসিবি এবং কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের সংগঠনে পিএসএলের এই প্রীতি ম্যাচটির আয়োজন করা হয়েছিল। এদিকে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ক্রিকেট সমর্থকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছে, পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে ম্যাচ চলাকালীন এই ঘটনার পরেও কীভাবে তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলগুলোর পাকিস্তান সফর আশা করে।