সময়ের সাথে পরিবর্তনের পালে হাওয়া লেগেছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। রমিজ রাজা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দায়িত্ব নেওয়ার পর বদলে গেছে অনেক কিছুই। অবকাঠামোগত উন্নয়নে অনেক কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তবে পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলার মতো সুযোগ খুবই কম বলে মনে করছেন হাসান আলী। আর এ কারণেই অনেক ক্রিকেটার যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাচ্ছেন বলে জানান এই পেসার।
এই সমস্যা সমাধানে দেশে ক্রিকেটের পরিধি আরো বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন হাসান। সম্প্রতি ক্রিকেট উন্নয়নের কাজে সুনিপুণ পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে পিসিবি। দেশটির ক্রিকেট কাঠামো উন্নয়ন নিয়ে কাজ শুরু করেছে তারা। রমিজ রাজার এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বদলে যেতে পারে পাকিস্তান ক্রিকেটের চিত্র। বলার অপেক্ষা রাখে না, বিশ্ব ক্রিকেটেও শক্তিশালী অবস্থান তৈরী করবে পাকিস্তান।
ক্রিকেট উন্নয়নের অংশ হিসেবে সম্প্রতি ড্রপ ইন পিচ বসানোর পরিকল্পনাও করেছে পিসিবি। অস্ট্রেলিয়া থেকে এই পিচ আনতে ৩৭ কোটি টাকা খরচ করছে তারা। মূলত দেশের ক্রিকেটারদের বাউন্সি এবং স্পোর্টিং উইকেটে খেলায় অভ্যস্ত করে তুলতেই এই উদ্যোগ রমিজ রাজার। এছাড়া পিএসএলের আদলে যুবা ক্রিকেটারদের জন্য আরো একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার কথা ভাবছে পিসিবি।
তারপরও ২২ কোটি জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলার সুযোগ সুবিধা আরো বৃদ্ধি করা দরকার বলে মনে করছেন হাসান আলী। পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো সামি আসলামের মতো ক্রিকেটারের উদাহরণ টেনে হাসান বলেছেন, ‘আমাদের এখানে অনেকেই ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দিয়েছে। ক্রিকেটকে অন্য কাজের পাশাপাশি নিয়েছে। এমনকি কিছু খেলোয়াড় যুক্তরাষ্ট্রেও খেলতে চলে যাচ্ছেন। যার স্পষ্ট প্রমাণ, পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলার সুযোগটা কম’।
তবে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো এখন বেশ শক্তিশালী। ঘরোয়া লিগ থেকে পারফর্ম করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এসেও আলো ছড়াচ্ছেন অনেকে। কিন্তু দেশটির ঘরোয়া ক্রিকেটে যে পরিমাণ খেলোয়াড় আছে, সে পরিমাণ খেলার ব্যবস্থা নেই। এজন্য লিগে দলের সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন হাসান।
তিনি আরো বলেছেন, ‘আমি মনে করি, বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে কিছু মৌলিক পরিবর্তন দরকার। যেমন, ৬টি আঞ্চলিক দলকে ১০ বা তার বেশি করা যেতে পারে। সেটা যদি হয়, আরো বেশি ক্রিকেটার খেলার সুযোগ পাবে। এটা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্যও ভালো ফল বয়ে আনবে। নতুন নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে’।