বয়সটা সত্যিই তার কাছে সংখ্যা ছাড়া কিছুই নয়। ৪০ পেরিয়ে গেলেও যেকোনো তরুণ পেসারদের টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা তিনি রাখেন। এমনকি ইংল্যান্ডের লাল বলের ক্রিকেটে প্রথম একাদশের নিয়মিত সদস্য তিনি। এখনও দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ইংল্যান্ডের ৪০ বছর পার হয়ে যাওয়া জেমস অ্যান্ডারসন। তবে তিনি যদি পাকিস্তান দলের হয়ে খেলতেন তাহলে এমন পারফরম্যান্স করা সত্ত্বেও অনেক আগেই দল থেকে বাদ পড়ে যেতেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বিস্ফোরক দাবি করলেন পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার ব্যাটার কামরান আকমল।
প্রায় দুই মাস আগেই অ্যান্ডারসন বলেছেন, ” বয়স নামের পাশে শুধুই একটি সংখ্যা। ” এটা যে তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তার প্রমাণও তিনি নিজে। ৪০ বছর বয়সের ক্যারিয়ারে অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই ইংলিশ পেসার। ইংল্যান্ডের হয়ে সাদা পোশাকে ১৭৭ ম্যাচে তার শিকার ৬৭৫ উইকেট। লাল পোশাকে ২৭৮ উইকেট। কিন্তু এমন পারফরম্যান্স থাকার পরেও পাকিস্তান দলের হয়ে খেললে অনেক আগেই বাদ পড়তেন বলে মনে করেন কামরান।
কামরানের মতে পাকিস্তানে ক্রিকেটারদের বিচার করা হয় তার বয়স দিয়ে। শারীরিক ভাবে ফিট থাকলেও বয়সের দোহাই দিয়ে তখন দলে নেয়না বোর্ড। বয়স একটু বেশি হয়ে গেলে দলে আর কোনো সুযোগ থাকে না খেলার। কিন্তু অন্য দলগুলো তাদের দেশের কথা চিন্তা করেন বলে মনে করেন কামরান। তাই তিনি সৃষ্টিকর্তাকে অশেষ ধন্যবাদ জানান যে অ্যান্ডারসন পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেননি।
কামরান বলেন, ” সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ যে জেমস অ্যান্ডারসন পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেনি। নতুবা তার ক্যারয়ার এত দূর না আসতেও পারত। ভালো খেলেও শুধু বয়সের কারণে সে আরও অনেক আগে দল থেকে বাদ পড়ে যেতো। বিশ্বের প্রত্যেকটি দলেই পরিকল্পনা করে আগায়। দেশের কথা চিন্তা করে। শুধু পাকিস্তান এসব ভাবেনা। আমাদের কোনো, পরিকল্পনা নেই, নিয়ম নেই। আমরা দেশের কথা চিন্তা করি না, শুধু নিজেদের কথা বেশি ভাবি। এভাবেই দেশের ক্রিকেট পিছিয়ে যায়।একজন ক্রিকেটারের একটু বেশি বয়স হলেই আমরা ভাবতে থাকি, কিভাবে তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া যায়। “
উল্লেখ্য, এই ইংল্যান্ডের কাছেই সদ্য শেষ হওয়া টানা তিন টেস্টে বাজেভাবে হেরেছে পাকিস্তান। স্বাগতিকদের কাছ থেকে ট্রফি নিয়ে চলে গেছে ইংলিশরা। দলের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের সমালোচনা করেন এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার। দেশের ক্রিকেটে কামরানকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনি বলেও মনে করেন তিনি।