সদ্যশেষ এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। যেখানে শ্রীলংকার কাছে ২৩ রানে হেরে রানার্সআপ হয়েছে তারা। পেয়েছে টুর্নামেন্টে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারানোর মতো স্বাদও। এসব খালি চোখে দেখলে বেশ ভালোই বলা যায়। তবে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টটি যে পাকিস্তানের জন্য মোটেই সুখকর হয়নি, তা বেশ ভালোভাবেই টের পেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
এশিয়া কাপের পারফরম্যান্সের প্রভাব গিয়ে পড়েছে বিশ্বকাপের দল নির্বাচনেও। কারণ, গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই নিষ্প্রভ ছিল দলের প্রধান ব্যাটসম্যান বাবর আজমের ব্যাট। টপ-অর্ডারের আরেক মারকুটে ব্যাটসম্যান ফখর জামানের ব্যাটেও রান খরা। আর তাতেই পাকিস্তানি নির্বাচকদের কপালে চিন্তার ভাজ। গোটা এশিয়া কাপে ৬ ম্যাচ থেকে সর্বসাকুল্যে ৯৬ রান করেছেন তিন নম্বরে খেলা ফখর।
এরপরই প্রশ্ন উঠে, শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের বিমানে উঠতে পারবেন তো ফখর? সেই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে বৃহস্পতিবার ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে। যেখানে ফখরের জায়গায় পাকিস্তান দলে ডাক পেয়েছেন শান মাসুদ। যিনি সর্বশেষ পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) মুলতান সুলতানের হয়ে ১২ ইনিংস থেকে করেছেন ৪৭৮। টুর্নামেন্টে মাসুদ ব্যাটিং করেছেন ১৩৮.১৫ স্ট্রাইকরেটে।
এদিকে পাকিস্তানের পেস বোলিং বিভাগে ফিরলেন প্রধান বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি। চোটের কারণে এশিয়া কাপে খেলতে না পারা শাহিন বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এশিয়া কাপে চোট পাওয়া আরেক পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিমও ফিরলেন বিশ্বকাপের দলে। বাদ পড়েছেন এশিয়া কাপে খেলা শাহনেওয়াজ দাহানি এবং হাসান আলি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২ এর জন্য পাকিস্তান দল:
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, হায়দার আলি, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, আসিফ আলি, শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), হ্যারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ ওয়াসিম, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং উসমান কাদির।
পাকিস্তান দলের স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার:
ফখর জামান, শাহনেওয়াজ দাহানি এবং মোহাম্মদ হ্যারিস।