বর্তমান সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টির জোয়ার বইছে। চার ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে দর্শকদের মন জয় করছেন ক্রিকেটাররা। ধুমধাড়াক্কা বাউন্ডারির কারণে ক্রিকেটের বাকি দুই ফরম্যাটের থেকে এই ফরম্যাটের দিকেই বাড়ছে দর্শকদের আগ্রহ৷ বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন ধুমধাম বাউন্ডারি কিংবা ওভার বাউন্ডারি হাঁকানো ক্রিকেটারের সংখ্যা নেই বললেই চলে। দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এমন মূহুর্তে দলে এমন পাওয়ার হিটারের অভাব কেন? কিংবা দ্রুত রান তুলার উপায় কি? এমন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।
সিডন্সের মতে, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য পাওয়ার হিটিংয়ের বড় অন্তরায় দৈহিক গড়ন। পাশাপাশি এমন পথ থেকে উত্তরণের পথটাও জানিয়ে দিয়েছেন টাইগারদের ব্যাটিং কোচ। তিনি বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমার মনে হয় না আমাদের খুব দীর্ঘকায় গড়নের খেলোয়াড় রয়েছে। যেমন জস বাটলার ৬ ফুট ২ ইঞ্চি, বড় শরীর… গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও ৬ ফুট ২। মার্কাস স্টয়নিসের বড়সড় দৈহিক গড়ন… তাই আমাদের অন্য উপায় খুঁজতে হবে।’
সিডন্স আরো বলেন, ‘আমরা দৈহিক গড়নে অন্য দলগুলোকে পেছনে ফেলতে পারবো না। আমার মতে, আমাদের বোলিং বিভাগ খুব ভালো। আমার মনে হয় না, আমাদের অনেক বেশি রান করতে হবে। বোর্ডে একটা ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে হবে। তো সিঙ্গেল অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে পাওয়ার হিটিং অবশ্যই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতায়। যত বেশি বাউন্ডারি, তত বেশি ম্যাচ জেতা যায়। তাই আমাদের এখনও পাওয়ার হিটিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে, ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।
পাওয়ার হিটিংয়ে বাংলাদেশের সমস্যাটা পুরানো। অনেকবার কথাও উঠেছিল পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য আলাদা কোচ নিয়োগ দেয়ার। তবে সিডন্স মনে করেন তিনি নিজেই টাইগারদের পাওয়ার হিটিংয়ের টোটকা দিতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমার সেই সামর্থ্য রয়েছে। কিন্তু এখানে আসার পর মাত্র পাঁচটি ট্রেনিং সেশন হয়েছে। এর বাইরে সব ম্যাচ এবং ট্র্যাভেলিং। পাওয়ার হিটিংয়ের স্কিল আয়ত্ব করতে অনেক বেশি ট্রেনিং সেশন প্রয়োজন। তো আমার এটি প্রয়োজন। ট্রেনিংয়ে আরও বেশি সময় দিয়ে দেখতে হবে খেলোয়াড়দের স্কিলে পরিবর্তন আনা যায় কি না। এই মুহূর্তে আমরা ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ অবস্থায় আপনি অন্য কিছু চিন্তা করতে পারবেন না।’
বাংলাদেশের বোলারদের পারফরম্যান্স ভালো, ভালো সংগ্রহ হলেই তারা ম্যাচ বের করে নিয়ে আসতে পারবেন। এই ব্যাপারে সিডন্স বললেন, ‘আমরা যদি অনেক চার মারতে পারি, অনেক সিঙ্গেল নিতে পারি… পাশাপাশি কিছু ছক্কা হাঁকালে আমরা বোর্ডে ভালো স্কোর জমাতে পারবো। এরপর আমাদের বোলিং আক্রমণ বাকিটা সামলে নিতে পারবে। আমাদের বিশাল স্কোর করতে হবে না।’