পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি। শেঠি দায়িত্বে আসার পর পাক বোর্ডে কোনো না কোনো পরিবর্তন হয়েই যাচ্ছে। দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পরই শেঠি আলটিমেটাম দিয়েছিলেন পিসিবি কর্মকর্তারা বেতন কম না নিলে যেন চাকরি ছেড়ে দেয়। তবে কর্মকর্তাদের কেউই চাকরি ছাড়েননি৷ পাকিস্তানের সংবাদ সূত্রে জানা গেছে উচ্চ বেতনের কর্মকর্তারা বরং কম বেতনে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব পালন করার ব্যাপারে আগ্রহী ।
বোর্ডের অনেক কর্মকর্তারা উচ্চ বেতনে চাকরি করেন। তাদের মাসিক বেতন লক্ষাধিক। শেঠি দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পর এক সপ্তাহের আলটিমেট দিয়েছিলেন উচ্চ বেতনে চাকরি করা কর্তাদের মাসিক বেতন ৩০ -.৪০ শতাংশ কম নিতে হবে। তা না হলে তাদেরকে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন শেঠি। ব্যাপারটা শোরগোল ফেলে দেয় পাকিস্তান ক্রিকেটে। শেঠি তার সাক্ষাৎকারে বলেন উচ্চ বেতনের কর্মকর্তারা বেতন কম না নিলে বোর্ড বিকল্প ভাববে।
এবার সংবাদ সূত্রে জানা যায়, এই এক সপ্তাহের মধ্যে কোনো কর্মকর্তা পদত্যাগ করেননি। তারা কম বেতন নিতে প্রস্তুত। পিসিবির এসব উচ্চ বেতনে কর্মরত ব্যক্তিরা বেতন কমানোর অঘোষিত সম্মতি দিয়েছেন। এমনটাই জানানো হয়েছে ব্যবস্থাপনা কমিটি থেকে। সংবাদ সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে নতুন কর্ম – পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে পিসিবির ব্যবস্থাপনা কমিটি। ধারণা করা হচ্ছে, বোর্ড থেকে কিছু কর্মকর্তাকে বরখাস্তও করা হবে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা জাভেদ মুরতাজা যার মাসিক বেতন ১৪ লাখ ১২ হাজার ৯৮০ রুপি। হাই পারফরম্যান্স ডিরেক্টর নাদিম খানের বেতন ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ রুপি, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট অপারেশনস ডিরেক্টর জাকির খানের ৯ লাখ ৬১ হাজার ৬৬৩ রুপি, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর সামি উল হাসানের ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৯ রুপি। শেঠির নেতৃত্বাধীন বোর্ড পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে আসার পর উচ্চ বেতন পাওয়া এই কর্মকর্তাদের বেতন শর্ত অনুযায়ী ৩০ – ৪০ ভাগ কমে যাবে।
রাজনৈতিক পালাবদলের পর দায়িত্ব পেয়েই পাকিস্তান ক্রিকেটকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছেন নাজাম শেঠির নেতৃত্বাধীন বোর্ড। ইতোমধ্যে শহীদ আফ্রিদিকে প্রধান নির্বাচকও করা হয়েছে৷ তার অধীনে দলে রদবদলও হয়েছে। অনেক দিন পর দলে সুযোগ পেয়েই সরফরাজ ব্যাটে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট উন্নতির ব্যাপারেও নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে পিসিবি৷ তবে বোর্ড কর্তাদের উচ্চ বেতন যেন গলার কাটা হয়ে ছিলো। তাই দায়িত্ব পেয়েই কার্যকরী ব্যবস্থা নিলেন শেঠি। বোর্ড কর্তাদের আর এত বেতন দিতে রাজি নন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান। বোর্ড কর্তারাও চাকরি বাচাতে আগের তুলনায় কম বেতনে কাজ করতে রাজি।