ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সৌরভ গাঙ্গুলী আর অধিনায়কত্ব নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। গ্রেগ চ্যাপেলের সাথে তার দ্বন্দ্ব এখনো ক্রিকেট বিশ্বে আলোচিত বিষয়। সময়ের পালা বদলে সেই সৌরভ এখন ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বেসর্বা। হয়েছেন বোর্ডের সভাপতি। অন্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেটে গ্রেগ চ্যাপেল অধ্যায় শেষ বহু আগেই।
তবু এতদিন পরেও ফের অধিনায়কত্ব নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। তিনি জানালেন, নেতৃত্ব ছাড়তে বাধ্য করা হয় তাকে। শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় নিজের ক্রিকেট জীবনের নানান ঘটনা তুলে ধরেন সৌরভ। এসময় ২০০৫ সালে তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং পরবর্তীতে দল থেকে বাদ দেওয়ার কথাও তুলেন আনেন তিনি।
সৌরভ বলেন, ‘২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল হারের দুঃখ ঘুচাতে ২০০৭ বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। ২০০৩ বিশ্বকাপের পর আমাদের নতুন কোচ এসেছেন। বেশ কয়েকজনের নাম চর্চা হলেও শেষ পর্যন্ত ভারতীয় দলের কোচ হন অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ চ্যাপেল। ২০০৩ সালে খুব কাছে গিয়েও আমরা বিশ্বকাপ জিততে পারিনি।‘
খারাপ লাগার কথা জানিয়ে সৌরভ বলেন, ‘শুধু আমার নয়, দলের সবারই আক্ষেপ ছিল। সে সময়ই আমাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বলে রাখা ভালো, আমাকে নেতৃত্ব ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। অথচ তখন আমি দলের জন্য ভালো খেলতে চেয়েছি। নিজের সামর্থ্যের সবটুকু দলকে দিতে চেয়েছি।‘
নেতৃত্ব ছাড়তে বাধ্য করা হলেও, কে বা কারা বাধ্য করেছেন তা জানাননি সৌরভ। এমনকি বিষয়টিকে ক্রিকেট জীবনের উত্থান–পতন হিসেবেই দেখছেন তিনি। তৎকালীন কোচ চ্যাপেলের সঙ্গে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সে বিষয়েও মুখ খুলেননি তিনি।
সৌরভ আরো বলেন, ‘২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারের পর লক্ষ্য ছিল, সে বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ওদের মাটিতেই ওদের হারাবো। এজন্য সিরিজ শুরু আগে অস্ট্রেলিয়ায় ৭ দিন বিশেষ অনুশীলন করেছি। সেই অনুশীলন আমাকে খেলোয়াড় হিসেবে অনেক উন্নত করেছে। যার ফল পেয়েছিলাম অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই টেস্ট সিরিজে।‘
সৌরভের বক্তব্য ক্রিকেট বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। অনেকেই পুরানো বিতর্ক টেনে এনে গ্রেগ চ্যাপেলকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধুয়ে দিচ্ছেন। ৭৪ বছর বয়সী গ্রেগ চ্যাপেল অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি।