বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন ক্রিকেটাররা। অনেকেই আবার ফিক্সিং কান্ডের জন্যও ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। ফিক্সিং কান্ডে নিষিদ্ধ হয়ে আশরাফুল এর মত অনেক ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারও শেষ হয়ে গেছে। পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির এবং শারজিল খানও ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। জুয়াড়িদের সঙ্গে মেসেজ বিনিময় কান্ডে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। তবে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক হারুন রশিদ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে সাকিব ফিরতে পারলে আমিররাও দলে ফিরতে পারবে।
২০০৯ সালে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। আর সেই ঘটনায় তাকে জেলও খাটতে হয়। ক্রিকেট থেকে পান নিষেধাজ্ঞা। পরবর্তীতে আবার জাতীয় দলে ফিরলেও সবাইকে অবাক করে দিয়ে খুব শীঘ্রই অবসর নিয়ে নেন। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং বোর্ডের প্রতি ক্ষোভ ছিলো আমিরের। এরপর থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট আর ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে থাকেন পাকিস্তানের এই বাঁহাতি পেসার । এদিকে ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন শারজিল খানও। আড়াই বছরের জন্য স্থগিত নিষেধাজ্ঞা সহ পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা পান ২০১৭ সালে।
এবার পাকিস্তান জাতীয় দলে তাদের ফেরা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাকিব – স্যামুয়েলসের উদাহরণ টেনে আনেন পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক হারুন রশিদ। যদিও সাকিবের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে আমির – শারজিলের নিষেধাজ্ঞার মিল নেই। হারুন রশিদ বলেন, ” আমির – শারজিলের জন্য পাকিস্তান জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়নি। যদি সাকিব আল হাসান এবং মারলন স্যামুয়েলস নিষেধাজ্ঞা শেষে ফিরতে পারে তাহলে আমাদের খেলোয়াড়েরাও পারবে। যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে তারা আবারও জাতীয় দলে ফিরতে পারবে। ”
তবে জাতীয় দলে ফেরার জন্য তাদেরকে আগে কিছু কাজ করতে হবে বলে আভাস দেন প্রধান নির্বাচক। তিনি বলেন, ” পাকিস্তান দলে আমির একজন অসাধারণ ক্রিকেটার। আর সে যদি এখনও পাকিস্তান ক্রিকেটে সার্ভিস দিতে চায়, তাহলে তার জন্য জাতীয় দলের দরজা অবশ্যই খোলা। এর জন্য প্রথমে তাকে তার অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। এতে আমরা বুঝতে পারব বেছে নেওয়ার জন্য কোন কোন ক্রিকেটার আমাদের আছে। কাদের সুযোগ দেওয়া যায়। “
উল্লেখ্য, জুয়াড়ির প্রস্তাব পাওয়ার পর সেটি প্রকাশ না করার জন্য সাকিব এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। অন্যদিকে স্যামুয়েলস নিষিদ্ধ হয়েছিলেন অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য। স্যামুয়েলস অবশ্য কয়েকবার নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছিলেন। ২০১৩ সালেও অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হন তিনি। এরপর ২০১৫ সালেও তাকে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সাকিব, স্যামুয়েলদের মত মাঠে ফেরা আমিরের জন্য কঠিনই বটে।