নামিবিয়া বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত (ম্যাচ ১০) – হাইলাইটস
বৃহস্পতি বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১০ম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল নামিবিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে বেশ ভালই একটি লক্ষ্য দাড় করায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ হয়ে যাওয়ায় অল্পের জন্য লক্ষ্যে পৌছাতে পাড়ল না নামিবিয়া। ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছ থেকে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। সেই সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে ভাল ব্যাটিং ও বোলিং করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের খেতাব জিতে নেন মুহাম্মদ ওয়াসিম।
জিলংয়ের কার্দিনিয়া পার্কে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছে আরব আমিরাত। মোহাম্মদ ওয়াসিমের হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মুহাম্মদ ওয়াসিম এবং বৃত্তি অরবিন্দ। ৩৯ রানের জুটি গড়েন তারা। বৃত্তি অরবিন্দ একটু স্লো ব্যাটিং করলেও উদ্বোধনী জুটিটাই চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে সহায়তা করে। ৩২ বলে ২১ রান করে আউট হন অরবিন্দ।
এরপর সিপি রিজওয়ানকে নিয়ে ৫৮ রানের জুটি গড়েন ওয়াসিম। ৪১ বলে ৫০ রান করে আউট হন তিনি। ১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে।
আলিশান শরাফু ৪ রান করে ফিরে যান। শেষ মুহূর্তে বাসিল হামিদ ১৪ বলে ২৫ রান করে আরব আমিরাতের স্কোরকে দেড়শর কাছাকাছি নিয়ে যান।
নামিবিয়ার হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ডেভিড উইজ, বার্নার্ড শোল্টজ এবং বেন শিকোঙ্গো।
দিনের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের। এ কারণে নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি তাদের জন্য ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। কিন্তু নামিবিয়ার জন্য ছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচটি জিতলেই সুপার টুয়েলভে চলে যেতো আফ্রিকার দেশটি।
কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দিলো না আরব আমিরাত। নিজেরা তো ডুবলোই, ডোবাল প্রতিপক্ষকেও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম জয়টি তুলে নিতে আরব আমিরাত এমন এক দিন বেছে নিলো, যে দিনটি হতে পারতো নামিবিয়ার উৎসবে রাঙানোর।
জিলংয়ে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে ৭ রানের জয় তুলে নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে আরব আমিরাত। তাদের এই জয়ে বিদায় হয়ে গেছে নামিবিয়ারও। ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার টুয়েলভে উঠেছে শ্রীলঙ্কা আর নেদারল্যান্ডস।
নামিবিয়ার সামনে লক্ষ্য ছিল ১৪৯ রানের। খুব কঠিন নয় নিশ্চয়ই। তবে আরব আমিরাতের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি নামিবিয়ার স্বীকৃত ব্যাটাররা। ৬৯ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে পড়ে দলটি।
কিন্তু এরপর অসাধ্য সাধনের চেষ্টা করেন অলরাউন্ডার ডেভিড ওইজ। সাত নম্বরে নেমে ৩১ বলে তুলে নেন ফিফটি। শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই জমিয়ে রেখেছিলেন তিনিই।
রুবেন ট্রাম্পেলম্যানের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ওয়াইজ গড়েন ৪৪ বলে ৭০ রানের জুটি। জয়ের জন্য শেষ তিন বলে দরকার ছিল ১০ রান। এই সময় ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন ওইজ। শেষ হয় নামিবিয়ার স্বপ্ন। ৩৬ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন ওইজ। ট্রাম্পেলম্যান অপরাজিত ছিলেন ২৪ বলে ২৫ রানে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে ২ টি করে উইকেট নেন বাসিল হামিদ ও জহুর খান। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন জুনায়েদ সিদ্দিক, কার্তিক মিয়াপ্পান, মুহাম্মদ ওয়াসিম।
নামিবিয়া বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত এর স্কোরবোর্ড
সংযুক্ত আরব আমিরাত – ১৪৮/৩ (২০.০)
নামিবিয়া – ১৪১/৮ (২০.০)
ফলাফল – সংযুক্ত আরব আমিরাত ৭ রানে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – মুহাম্মদ ওয়াসিম
নামিবিয়া বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচের একাদশ
নামিবিয়া | গেরহার্ড ইরাসমাস (অধিনায়ক), জেন গ্রিন (উইকেটরক্ষক), মাইকেল ভ্যান লিংজেন, স্টিফান বার্ড, জ্যান ফ্রাইলিংক, জ্যান নিকোল লোফটি-ইটন, ডেভিড উইজ, জেজে স্মিট, বার্নার্ড শোল্টজ, রুবেন ট্রাম্পেলম্যান, বেন শিকঙ্গো |
সংযুক্ত আরব আমিরাত | চুন্দাঙ্গাপয়িল রিজওয়ান (অধিনায়ক), বৃত্তি অরবিন্দ (উইকেটরক্ষক), আলিশান শরাফু, মুহাম্মদ ওয়াসিম, বাসিল হামিদ, অয়ন আফজাল খান, কার্তিক মিয়াপ্পান, ফাহাদ নওয়াজ, জুনায়েদ সিদ্দিক, আহমেদ রাজা, জহুর খান |