নামিবিয়া বনাম নেদারল্যান্ডস (ম্যাচ ৫) – হাইলাইটস
খুব সহজেই ম্যাচট জিতে যাচ্ছিল নেদারল্যান্ডস। মাত্র ১২২ রানের লক্ষ্য। ডাচরা হেসে-খেলেই এগিয়ে যাচ্ছিলো জয়ের লক্ষ্যে। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৯ রান ওঠার পর নেদারল্যান্ডসের জয়ের ব্যাপারে কারোরই সন্দেহ থাকার কথা নয়।
কিন্তু ১৪তম ওভারের ৫ম বলে দলীয় ৯২ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পরই ম্যাচটির চিত্র আমূল বদলে যায়। হঠাৎ করেই যেন ম্যাচের পাল্লা ঝুলে পড়ে নামিবিয়ার দিকে। ১২২ রানও তখন নেদারল্যান্ডসের সামনে মনে হচ্ছিল বিশাল এক দুরের পথ।
শেষ পর্যন্ত সহজ ম্যাচটাকে কঠিন বানাতে বানাতে যখন হারের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল, তখন বাস ডি লিড এবং টিম প্রিঙ্গল মিলে কোনোমতে জয় এনে দেন নেদারল্যান্ডসকে। মাত্র ৩ বল হাতে রেখে জয়ী হলো নেদারল্যান্ডস এবং সে সঙ্গে টানা দ্বিতীয় জয়ে সুপার টুয়েলভের পথটাও সহজ করে তুললো ডাচরা।
১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডসের দুই ওপেনার মিলে ৮.২ ওভারেই তুলে ফেলেন ৫৯ রান। ম্যাক্স ও’ডাউড এবং বিক্রমজিৎ সিং দলকে মোটামুটি জয়ের পথে নিয়ে আসেন। ৩৫ বলে ৩৫ রান করেন ম্যাক্স ও’ডাউড। ৩১ বলে ৩৯ রান করেন বিক্রমজিৎ সিং।
৫৯ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে ৯২ রানে। এরপর ১০১ রানের মাথায় দুটি এবং ১০২ রানের মাথায় আরও একটি উইকেটের পতন ঘটলে দারুণ বিপদে পড়ে যায় নেদারল্যান্ডস। টম কুপার এ সময় আউট হন ৬ রান করে, কলিন অ্যাকারম্যান কোনো রানই করতে পারলেন না এবং অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস আউট হন মাত্র ১ রান করে।
১০২ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর যখন ধুঁকছিল নেদারল্যান্ডস, তখন বাস ডি লিড এবং টিম প্রিঙ্গল মিলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। ২ বাউন্ডারিতে ৩০ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন ডি লিড। ৯ বলে অপরাজিত ৮ রান করেন টিম প্রিঙ্গল। শেষ পর্যন্ত ১৯.৩ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ডাচরা।
নামিবিয়ার হয়ে সর্বাধিক ২টি উইকেট তুলে নেন জেজে স্মিট। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন বার্নার্ড স্কোল্টজ এবং ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় নামিবিয়া। উইকেট থাকার পরও হাতখুলে খেলতে পারেনি নামিবিয়ান ব্যাটাররা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন আগের ম্যাচের ম্যাচ সেরা ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক। কিন্তু এই ৪৩ রান করতে তিনি খেলেছেন ৪৮টি বল।
আগের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে জয় পাওয়ার কারণে আজ টস জিতেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নামিবিয়ার অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আউট হয়ে যান ওপেনার ডিভান লা কক। মাত্র ২ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি। ১৯ বলে ২০ রান করে আউট হন অপর ওপেনার মাইকেল ভ্যান লিংজেন।
ইয়ান নিকোল লোফটি-ইটন ২ বল খেলে কোনো রান না করেই বিদায় নেন। ফ্রাইলিঙ্ক ৫ নম্বরে নেমে করেন ৪৩ রান। ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক এরাসমাস। ১৮ বলে ১৬ রান করেন তিনি। ডেভিড ভিয়া ৫ বলে অপরাজিত থাকেন ১১ রান করে এবং জেজে স্মিট ৪ বলে করেন ৫ রান।
ডাচদের হয়ে বাস ডি লিড সর্বোচ্চ ২টি উইকেট শিকার করেন। সেই সাথে দুর্দান্ত অল-রাউন্ডার পারফর্মেন্স প্রদর্শন করে তিনি প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। এছাড়া টিম প্রিঙ্গল, কলিন অ্যাকারম্যান, পল ভ্যান মিকিরেন এবং রোয়েলফ ভ্যান ডার মেরওয়ে ১টি করে উইকেট তুলে নেন।
নামিবিয়া বনাম নেদারল্যান্ডস এর স্কোরবোর্ড
নামিবিয়া – ১২১/৬ (২০.০)
নেদারল্যান্ডস – ১২২/৫ (১৯.৩)
ফলাফল – নেদারল্যান্ডস ৫ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – বাস ডি লিড
নামিবিয়া বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচের একাদশ
নামিবিয়া | গেরহার্ড এরাসমাস (অধিনায়ক), জেন গ্রিন (উইকেট রক্ষক), মাইকেল ভ্যান লিংজেন, স্টিফেন বার্ড, ডিভান লা কক, ইয়ান নিকোল লোফটি-ইটন, ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক, জেজে স্মিট, বার্নার্ড স্কোল্টজ, ডেভিড ভিয়া এবং বেন শিকঙ্গো। |
নেদারল্যান্ডস | স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক ও উইকেট রক্ষক), বিক্রমজিৎ সিং, বাস ডি লিড, ম্যাক্স ও’ডাউড, কলিন অ্যাকারম্যান, টিম প্রিঙ্গল, টম কুপার, রোয়েলফ ভ্যান ডার মেরওয়ে, ফ্রেড ক্লাসেন, টিম ভ্যান ডের গুগেন এবং পল ভ্যান মিকেরেন। |