সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালটা ভারতের জন্য মনে রাখার মতো হয়নি। যদিও দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সাফল্য পেয়েছে এশিয়ার অন্যতম ক্রিকেট পরাশক্তিশালী দলটি। গত বছর অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপে ব্যর্থ হয়েছে তারা। সেইসাথে আইসিসির কোন শিরোপা জয়ের অপেক্ষাটাও বাড়লো। অবশ্য হার্দিক পান্ডিয়া জানালেন, নতুন বছরে তারা বিশ্বকাপ জিততে চান। তার মতে, এটাই এখন ভারতীয়দের সংকল্প।
এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে হার্দিক বলেন, ” ২০২২ সালটা ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য বেশ দারুণ কেটেছে। মাঠে যেটা দিতে চেয়েছি, সেটা আমি পেরেছি বলে মনে হয়। তবে দলীয়ভাবে যেটা চেয়েছিলাম সেটা পাইনি, লক্ষ্য ছিলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতবো, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা সেটা পারিনি। ব্যর্থ হলেও আমরা হতাশ নই, ব্যর্থতা খেলার অংশ। নতুন বছরে আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে চাই। বিশ্বকাপ জেতার জন্য আমরা সবাই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকভাবে এগোচ্ছে। আশা করি ব্যর্থতা কাটিয়ে নতুন বছরে আমরা সফল হবো “।
এদিকে দলের তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে হার্দিক বলেন, ” ভারতীয় দলে পারফর্মারের অভাব নেই। এতে দলে সুস্থ প্রতিযোগিতা চলে। সিনিয়র ক্রিকেটাররা যখন ছুটিতে থাকে, তখন নতুনদের নিজেদের প্রমান করার সুযোগ আসে। এতে আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চ ও শক্তিশালী হয়। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আমরা তরুনদের সেই সুযোগটা দেই । তরুণদের আমরা ভরসা দিচ্ছি, মাঠে গিয়ে নিজের মতো খেলার সাহস দিচ্ছি। এতে দলেরই লাভ হচ্ছে। ওরা সেরা ক্রিকেটার, বলেই ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। প্রত্যেক ক্রিকেটারের প্রতি আমরা আস্থা রেখে, পর্যাপ্ত সুযোগ দেব, যেন ভবিষ্যতে ভারতীয় ক্রিকেট ভালো খেলোয়াড়ের সংকটে না পরে “।
অবশ্য একজনের কথা আলাদাভাবে বলেছেন ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তিনি হলেন, সূর্যকুমার যাদব। গেল বছরে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান যেভাবে পারফর্ম করেছেন, আগামী দিনগুলোতেও তার ধারাবাহিকতা চান হার্দিক। হার্দিকের মতে, এমন উড়ন্ত ফর্মে থাকলে ভারতের ট্রাম্পকার্ড হতে পারেন সূর্যকুমার। শুধু সাদা বলের ক্রিকেটে নয়, লাল বলের ক্রিকেটেও এই ব্যাটসম্যানকে দেখতে চান হার্দিক।
উল্লেখ্য, বছরের শেষদিকে ভারতের মাটিতেই অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেই আসরকে সামনে রেখে এখন থেকেই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে এশিয়ান জায়ান্টরা। ইতোমধ্যে ২০ জন ক্রিকেটার নিয়ে প্রাথমিকভাবে পারফরম্যান্স পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। একইসাথে চোট সমস্যা নিয়েও সতর্ক তারা। ঘরের মাঠে যেন কিছুতেই ব্যর্থতার গল্প লিখতে চায় না ভারত।