আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন ,ডোয়াইন ব্রাভো ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি–টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা। টি টোয়েন্টির চাহিদা মেনে খেলে বেড়ান দেশে বিদেশের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। অনেক সময় দেশের হয়ে তাদের খেলতে অনিহা, এমন খবরও শোনা যায় । সম্প্রতি উইন্ডিজ কোচ ফিল সিমন্সও জানিয়ে দিলেন, দেশের হয়ে খেলার জন্য খেলোয়াড়দের দ্বারে দ্বারে ঘুরবেন না তিনি।
কোচের এমন মন্তব্যের পর চটেছেন আন্দ্রে রাসেল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘জানতাম এরকম কিছুই আসবে। তবে আমি চুপ থাকবো।‘ এদিকে ২০২১ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই ক্যারিবীয় দলে ব্রাত্য রাসেল। কোচের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তার দলে ফেরা নিয়েও রয়েছে বেশ অনিশ্চয়তা।
এর আগে ড্যারেন স্যামির নেতৃত্বে ২০১২ ও ২০১৬ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন রাসেল। বর্তমানে দ্য হান্ড্রেডে খেলতে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন রাসেল। সেখানেই স্যামির সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে তিনি জানালেন, আসছে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়েও অবদান রাখতে চান তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক স্যামি বর্তমানে ধারাভাষ্যকার। মাইক্রোফোন হাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দ্য হান্ড্রেডে। সেখানে স্যামিকে রাসেল বলেন, ‘আমাকে খারাপ বানানো হচ্ছে। সমালোচনার মুখে ফেলা হচ্ছে। তবে আমি এমন কিছুই আশা করছিলাম। সত্যি বলতে আমি চুপই থাকবো।‘
রাসেল আরো বলেন, ‘এমন নয় যে আমাকে নতুন করে শুরু করতে হবে। বয়স ৩৪, তবে এখনো উইন্ডিজের হয়ে অন্তত দুটি বিশ্বকাপ জিততে চাই। আমি সবসময় দেশের হয়ে খেলতে চাই এবং কিছু দিতে চাই। কিন্তু দিনশেষে যদি আমরা নির্দিষ্ট কিছুতে একমত না হই, তাহলে তো আপনার শর্তই আমার শর্ত হয়ে গেল। তাদেরও উচিত, আমার শর্তকে সম্মান করা।‘