সেন্ট লুসিয়ায় চারদিনেই টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ায় একদিন ফাঁকা পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তাই সেদিন দলের ৯ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে অনুশীলনে গিয়েছিলেন রাসেল ডোমিঙ্গো-অ্যালান ডোনাল্ড-জেমি সিডন্সরা। সেখানে নেটে বোলিং করেছেন টাইগারদের স্পিড স্টার তাসকিন আহমেদ। বোলিং শেষে বোলিং কোচ তাকে একপাশে একা ডেকে নিয়ে দিয়েছেন দীক্ষা। পাশাপাশি তাসকিনকেও দেখা গেছে ডোনাল্ডের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস নিতে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের আনুষ্ঠানিকতা এই দিনই শুরু হয়ে গেছে।
সাউথ আফ্রিকায় ইঞ্জুরিতে পড়ে ছিটকে যাওয়ার পর বেশ কিছুদিন পরেই ফিরেছেন তাসকিন। তাই বোলিং কোচ জানিয়ে দিয়েছেন মাঠে এবার তাকে দুটি জিনিস ধারণ করতে হবে। সেটি হচ্ছে – গতি এবং আগ্রাসন। অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলতে যেয়ে জানালেন ডোনাল্ডের সাথে তার কথোপকথনের ব্যাপারে।
তাসকিন বলেন, ‘আমি মাত্র চোট থেকে ফিরেছি। ম্যাচে আমার ভূমিকাটা কী হবে, ওটাই কোচ বোঝাতে চাচ্ছিলেন। তিনি বলেছেন, “তুমি যে ধরনের বোলার, তোমার ভূমিকা হবে সব সময় গতিময় বোলিং করা এবং আক্রমণাত্মক থাকা। এটা করতে গিয়ে কখনো তুমি অনেক রান দিয়ে দেবে। আবার কখনো একাই ম্যাচ জিতিয়ে দেবে। তবে তুমি তোমার এই ভূমিকা থেকে কখনো সরবে না।”’
অ্যান্টিগা টেস্ট শেষে পেস বোলারদের উত্থানের জন্য তাসকিনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রসঙ্গটা তুলতেই চিরচেনা হাসি হেসে তাসকিন বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের কথাগুলো আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। চেষ্টা করব নিজেকে আরও পরিণত বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে, দলকে কিছু দিতে।’
টেস্টে ভরাডুবি হলেও এই টাইগার পেসার মনে করেন টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে হতাশ করবে না টিম টাইগার্স। তাসকিনের লক্ষ্য দেশকে জয় উপহার দেয়া। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে টেস্ট সিরিজটা আমাদের ভালো যায়নি। ভুলগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে, তবে শুধু এটা নিয়ে বসে থাকা যাবে না। এই মুহূর্তে আমরা টি-টোয়েন্টি সিরিজটার দিকেই তাকিয়ে আছি। চেষ্টা করব ভালো খেলে দেশকে জয় উপহার দিতে।’