অতীতের ক্রিকেটের সঙ্গে বর্তমানের ক্রিকেটের অনেক পার্থক্য আছে। টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটের সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে টি – টোয়েন্টি ক্রিকেট। আর টি – টোয়েন্টি ক্রিকেট আসার পর থেকে ক্রিকেট বিশ্বের আবহাওয়ায়ও এসেছে বদল। টি – টোয়েন্টি ফরম্যাটের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর দিকে বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে বর্তমানের ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, অর্থের পেছনে ছুটতে ছুটতেই ঘরোয়া ক্রিকেটে এখন আর সেভাবে মনোযোগ নেই তরুন ক্রিকেটারদের। তবে তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরামের পরামর্শ হলো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বেশি মনোযোগ দেওয়া।
আকরামের মতে, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ গুলোর দিকে ঝুঁকে যাওয়ার জন্য ক্রিকেটে সেভাবে অভিজ্ঞ হতে পারছেন না তরুণ ক্রিকেটাররা। ছোট ফরম্যাটের এই ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে গিয়ে ক্রিকেটের আদি ফরম্যাটে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দেখাতে পারছে না তারা। টি – টোয়েন্টি ক্রিকেটে টিকে থাকলেও টেস্টে নড়বড়ে পারফরম্যান্সই উপহার দিচ্ছে তরুণরা। আকরাম মনে করেন, ক্রিকেটে অভিজ্ঞ হতে হলে দরকার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা। পাকিস্তানের তরুণ ক্রিকেটার নাসিম শাহ, হারিস রউফদের এমন পরামর্শ দেন ওয়াসিম আকরাম।
পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার মনে করেন, মাত্র কয়েক ওভার বোলিং করার পরেই যদি ক্রিকেটাররা বেশি অর্থ পায় তাহলে স্বাভাবিকভাবে সেদিকেই খেলার আগ্রহ দেখাবে তারা। এই প্রসঙ্গে আকরাম বলেন, ” ক্রিকেটটাই এখন অনেক বদলে গেছে। ক্রিকেট এখন খেলাটার চেয়েও বেশি বানিজ্যিক হয়ে গেছে। আপনি যদি টি – টোয়েন্টি ম্যাচে মাত্র চার ওভার বোলিং করে বেশি অর্থ পান তাহলে টানা পাঁচ দিন টেস্ট ম্যাচ খেলার আগ্রহ হারাবেন, এটাই স্বাভাবিক । আমি মনে করি আমাদের তরুণ তারকা পেসার নাসিম শাহ, হারিস রউফ আর ওয়াসিম জুনিয়রদের টাকার পেছনে না ছুটে ক্রিকেটে মন দেয়া উচিৎ। ওদের বেশি করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা উচিত, এতে ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ হবে। ”
ঘরোয়া ক্রিকেটের দিকেও মনোযোগ দিতে বলেন পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি। সময় থাকলে চার দিনের ম্যাচ খেলাতেন বলেও জানান তিনি। তরুণদের উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ” পাকিস্তান সুপার লিগ ( পিএসএল ) ছাড়াও তরুণ ক্রিকেটারদের অবশ্যই ঘরোয়া লিগে মন দেয়া উচিৎ যেন জাতীয় দলে নিজের সর্বোচ্চটা দিতে পারে। ওদের ক্যারিয়ারের জন্যই আরও দুই – তিনটি লিগে খেলা উচিত। আমাদের সময় থাকলে আমরা চার দিনের ম্যাচ খেলতাম।কারন এখানে ভালো খেললে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ভালো খেলার আত্মবিশ্বাসটাও বাড়ে। ”
উল্লেখ্য, পাকিস্তান সুপার লিগের ( পিএসএল ) অষ্টম আসরের পর্দা উঠবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি। ৬ টি দল মোট ৩৪ টি ম্যাচ খেলবে আসরটিতে। লাহোর, করাচি, মুলতান এবং রাওয়ালপিন্ডি এই চারটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো। ১৯ মার্চ ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে আসরটির।