দলের ব্যর্থতার কারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছেড়েছেন মুমিনুল হক। এবার হয়তো দল থেকেই ছিটকে পড়ার শঙ্কা জেগেছে তার। মুমিনুল খেলেন শুধু টেস্ট ফরম্যাটে। যেখানে ২০১৯ সালে নেতৃত্বের ভার ওঠে তার কাঁধে। এরপর থেকেই যেন ব্যাটিংটা ভুলতে বসেছেন মুমিনুল। একের পর এক দলের হার, সাফল্যের তালিকায় কেবল মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।
কয়েকদিন আগে ঘরের মাঠে শ্রীলংকা সিরিজে ভরাডুবির পর, আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয় অধিনায়ক মুমিনুলের অধ্যায়। ঘাড় থেকে বড় দায়িত্ব নেমেছে, তবু হাসছে না মুমিনুলের ব্যাট। উইন্ডিজ সফরের প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে মুমিনুলের রান ০ এবং ৪। সবশেষ ১৭ ইনিংসে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন মাত্র ৩ বার, যেখানে ফিফটির দেখা পেয়েছেন ১২ ইনিংস আগে।
মুমিনুলের অফ ফর্ম নিয়ে টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মনে করেন, অধিনায়কত্ব ছাড়া মুমিনুলকে এবার নিজের ব্যাটিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। টানা ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে, বিশ্রামের প্রয়োজন আছে কি না, সিদ্ধান্তটা নিতে হবে মুমিনুলকে। তবে দুঃসময়ে দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের পাশে থাকছেন অধিনায়ক।
সাকিব বলেন, ‘এটা আমার পক্ষে বলা মুশকিল। যেটা হচ্ছে, ওর সঙ্গে সবসময় কথা হয়। আবার কথা হবে। ও যদি মনে করে ওর ব্রেক দরকার, তাহলে…নেবে। এখন আসলে একটা ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ভালো কিছু না। আমাদের ব্রেক আছে। এরপর যখন সেন্ট লুসিয়ায় অনুশীলন করব, তখন চিন্তা করব আমাদের দলের জন্য কোনটা ভালো হবে।’
সম্প্রতি মুমিনুল সহ দলের পুরো টপ অর্ডার ব্যর্থ। এমন অবস্থায় দ্বিতীয় টেস্টের দলে পরিবর্তন নিয়ে সাকিবের কৌশলী মন্তব্য এমন। ‘খুব বেশি বদলালে যে খুব ভালো কিছু হবে, আপনি তার গ্যারান্টি দিতে পারবেন না। স্ট্যাটসের কথা বলছিলাম, ১৩-১৪-১৫ ইনিংসের মধ্যে কত ইনিংসে ১০০ এর নিচে ৪/৫ উইকেট হারিয়েছি। সেই জায়গা থেকে চিন্তা করলে অনেক সমস্যা আছে। দলীয় প্রচেষ্টায় এখান থেকে বের হয়ে কামব্যাক করা সম্ভব।’