ডিসি বনাম পিবিকেএস ম্যাচ হাইলাইটস
দিল্লী ক্যাপিটালস এর অসাধারণ বোলিং পারফরমেন্স এর সৌজন্যে পাঞ্জাব কিংস কে খুব সহজেই ডিসি আইপিএল এর ৩২ তম ম্যাচে ৯ উইকেট এ হারায়।
টস এ জিতে দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ প্রথমে পাঞ্জাব কে আগে ব্যাট করতে পাঠান। পিবিকেএস অধিনায়ক এই ম্যাচে এর জন্য প্রথম একাদশ এ ফিরে এলেও এই ম্যাচ টা খুব ১টা মনে রাখতে চাইবেন না। ব্যাটিং বোলিং সব বিভাগ এই পাঞ্জাব কে খুব দুর্বল দেখিয়েছে
পিবিকেএস এই মৌসুমে খুব আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছে। উইকেট পড়লেও তাদের সব ব্যাটসম্যান রান এর গতি বাড়ানোর লক্ষে খেলছে। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অলরাউন্ডার ওডিয়ান স্মিথ এর জায়গা তে অস্ট্রেলিয়ান পেস বোলার নাথান এলিস কে দলে নিয়েছিল পাঞ্জাব এই ম্যাচ টির জন্যে।
ব্যাট হাতে পাঞ্জাব এর শুরু টা তাদের অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগারওয়াল ভালো করেছিলেন। শিখর ধাওয়ান এই ম্যাচে কোনো দাপট দেখতে পারেনি। ডিসির অফস্পিনার লালিত যাদব এর বল এ তিনি ফিরে যান মাত্র ৯ রান করে।
পিবিকেএস অধিনায়ক মায়াঙ্ক শুরু টা ভালো করলেও তার ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৫ বল এ ২৪ রান করে তিনি মুস্তাফিজুর রহমান এর বল এ বোলড হয়ে প্যাভিলিয়ন এ ফিরে যান।
পিবিকেএস এর এই মৌসুমের সবচেয়ে সফলতম ব্যাটসম্যান ইংল্যান্ড এর লিয়াম লিভিংস্টোন এই ম্যাচে বড় রান করতে ব্যর্থ হন। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জিতেশ শর্মা পাঞ্জাব এর হয়ে এই ইনিংস এ সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন। তাদের দুজন কেই ফেরান ডিসির স্পিনার অক্ষর প্যাটেল।
ডিসির বোলাররা এই ম্যাচে এ পাঞ্জাব এর ব্যাটসম্যানদের কোনো বড় পার্টনারশীপ করতে দেয়নি। তারা উইকেট নিয়ে ম্যাচে পাঞ্জাব কে ফিরতেই দেয়নি।
পাঞ্জাব ব্যাটসম্যান শাহরুখ খান এই ম্যাচে এ ও ব্যর্থ হন। তিনি ২০ বল এ ১২ রান করে ফিরে যান।
পাঞ্জাব ২০ ওভার ব্যাট করে মাত্র ১১৫ রান করে তাদের ইনিংস শেষ হয়ে। দিল্লির স্পিন বোলাররা এই ম্যাচে দাপট এর সাথে বোলিং করেছে।
ডিসির লালিত যাদব, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। খলিল আহমেদ ২টি এবং মুস্তাফিজুর রহমান ১টি উইকেট নেন। শার্দুল ঠাকুর এই ম্যাচে কোনো উইকেট পাননি।
পাঞ্জাব এর ব্যাটিং এর মতো বোলিং এর সময়ও তারা কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। ১১৬ রান করতে নেমে ডিসির আক্রমণাত্মক ওপেনিং জুটির সামনে পাঞ্জাব এর বোলাররা দাঁড়াতেই পারেননি।
দিল্লি ক্যাপিটালস এর ডেভিড ওয়ার্নার এবং পৃথিবী স্ব এই ম্যাচে এ পাঞ্জাব কে কোনো সুযোগ দেয়নি ম্যাচে ফেরার। তারা প্রথম বল থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে শুরু করে। মাত্র ৩৯ বল এ ৮৩ রান এর ওপেনিং পার্টনারশীপ করে যান এই জুটি।
আইপিএল এর এই মৌসুমে এটাই হলো এখন পর্যন্ত পাওয়ারপ্লে তে করা সর্বাধিক স্কোর। ৬ ওভার এ ৮১ রান করেন দিল্লির ওয়ার্নার পৃথিবীর ওপেনিং জুটি।
পৃথিবী স্ব মাত্র ২০ বল এ ৪১ রান এর ১টি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ৭টি ৪ এবং ১টি ৬ দিয়ে তার ইনিংস শেষ হয়। পাঞ্জাব ১টি মাত্র উইকেট নিতে সফল হয়েছিল এই ম্যাচে। পাঞ্জাব এর লেগস্পিনার রাহুল চাহার পৃথিবী স্ব কে প্যাভিলিয়ান এ ফেরান। পিবিকেএস এর হয়ে আর কোনো বোলার উইকেট নিতে পারেনি।
ডেভিড ওয়ার্নার শেষ অবদি ব্যাট করে ডিসি কে জিতিয়ে ফেরেন। সরফরাজ খান এর সাথে ২৪ বল এ ৩৬ রান এর পার্টনারশীপ এ তারা এই ম্যাচে খুব সহজেই জিতে নেই। ডেভিড ওয়ার্নার এই ম্যাচে এ ৩০ বল এ ৬০ রান এর ১টা দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ১০ টা ৪ এবং ১টা ৬ মারেন ওয়ার্নার তার এই ইনিংস এ।
এই ম্যাচে এ জয় পাওয়ার পর দিল্লি ক্যাপিটালস এখন পয়েন্টস টেবিল এ ষষ্ঠ স্থান এ রয়েছে ৬ ম্যাচে এ ৬ পয়েন্ট নিয়ে। পাঞ্জাব কিংস ৭ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিল এর অষ্টম স্থানে রয়েছে।
ডিসি বনাম পিবিকেএস এর স্কোরবোর্ড
পাঞ্জাব কিংস– ১১৫/১০ (২০.০)
দিল্লি ক্যাপিটালস – ১১৯/১ (২০.০)
ফলাফল – দিল্লি ক্যাপিটালস ৯ উইকেট এ জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – কুলদীপ যাদব
ডিসি বনাম পিবিকেএস এর ম্যাচের এওয়ার্ড
এওয়ার্ড এর নাম | খেলোয়াড়ের নাম | দল |
সুপার স্ট্রাইকার অফ দ্য ম্যাচ | পৃথিবী স্ব | ডিসি |
গেমচেঞ্জার অফ দ্য ম্যাচ | ডেভিড ওয়ার্নার | ডিসি |
লেট’স ক্র্যাক ইট সিক্স | ডেভিড ওয়ার্নার | ডিসি |
ফাস্টেস্ট ডেলিভারি অফ দ্য ম্যাচ | কাগিসো রাবাদা | পিবিকেএস |
মোস্ট ভ্যালুয়েবল এসেট অফ দ্য ম্যাচ | ডেভিড ওয়ার্নার | ডিসি |
পাওয়ার প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ | পৃথিবী স্ব | ডিসি |
অন-দ্য-গো ৪’স অফ দ্য ম্যাচ | ডেভিড ওয়ার্নার | ডিসি |
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ | কুলদীপ যাদব | ডিসি |