শেষ হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ২০২১-২২ মৌসুম। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন শিরোপা ঘরে তুলেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো ডিপিএল শিরোপায় চুমু খাওয়ার স্বাদ পেয়েছে তারা। রানার্সআপ হয়েছে মাশরাফি-সাকিবদের দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই আসর শেষে ব্যাটে-বলে সেরা কারা? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
সদ্য শেষ ডিপিএলের সেরা ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়। ব্যাট হাতে এবারের মৌসুমটা যেমন কেটেছে, হয়তো ঠিক সেভাবে কল্পনাও করেননি বিজয়। প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার প্রতি ম্যাচেই হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরোধ্য। মাঠে নামলেই যেন শতক, অর্ধশতক। ১৫ ম্যাচ থেকে ১১৩৮ রান। অবিশ্বাস্যভাবে ৯৮.৬১ স্ট্রাইকরেটে ৯টি ফিফটি এবং ৩টি সেঞ্চুরি করেছেন বিজয়। ৮১.২৮ গড়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ১৮৪।
রান সংগ্রহের দৌঁড়ে একসময় বিজয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এগোলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেননি নাঈম ইসলাম। তাই তো টুর্নামেন্ট শেষে ৮৫৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে রূপগঞ্জের এই ব্যাটসম্যানকে। যেখানে ৫টি ফিফটির সঙ্গে ২টি শতক হাঁকিয়েছেন নাঈম। তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। টুর্নামেন্টে ১৫ ম্যাচ থেকে ৭ ফিফটির সুবাদের ৬৫৮ রান করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
উইকেট শিকারিদের তালিকাতেও রাজত্ব করেছে প্রাইম ব্যাংক। তরুণ ক্রিকেটার রকিবুল হাসানের ঘূর্ণি জাদুতে কুপোকাত হয়েছে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা। ২০১৯ সালে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই বাঁহাতি স্পিনার শিকার করেছেন মোট ২৯ উইকেট। খুব মিতব্যয়ী বোলিং করা রকিবুলের গড় ২০.৩৭। তবে দলের ক্রিকেটারদের এমন জয়জয়কারেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক।
এবারের ডিপিএলে সেরা তিন বোলারের মধ্যে বাকি দুজন বিদেশী তারকা। ১৫ ম্যাচ থেকে ১৮ উইকেট শিকার করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী বোলার শেখ জামালের ভারতীয় রিক্রুট পারভেজ রসুল। ৩.১৫ ইকোনমি রেটে তার বোলিং গড় ১৫.৮৫। তিন নম্বরে আছেন আরেক ভারতীয় চিরাগ জানি। রূপগঞ্জের জার্সিতে ১৫ ম্যাচ খেলে ১৮.২২ গড়ে ২৭ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। যার ইকোনমি রেট ৪.৮০।