আর কয়েক দিন পরেই ক্রিকেট ভক্তরা বুদ হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপের এই আসরে অংশগ্রহনকারী দেশগুলোর অনেকেই জার্সি উন্মোচন করে ফেলেছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়, জার্সি উন্মোচন করে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিল ক্রিকেটবিশ্বে। তবে তার রেষ কাটতে না কাটতেই ডিজাইন চুরির অভিযোগ উঠল বাংলাদেশের জার্সি নিয়ে।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জার্সিতে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ঐতিহ্য। সুন্দরবনের গোলপাতার ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে এসেছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সাথে শোভা পেয়েছে ঐতিহ্যবাহী জামদানীর প্রতিচ্ছবি। যা ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে বেশ সাড়া ফেলে।
কিন্তু উন্মোচনের সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। টাইগারদের জার্সি বানাতে কোন মাথাই ঘামাতে হয়নি জার্সি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের। অনলাইন থেকে একটি ছবি হুবুহু কপি করে করা হয়েছে এবারের জার্সির ডিজাইন। এমনই অভিযোগ উঠেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জার্সি নিয়ে।
সম্প্রতি পিন্টারেস্টের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় যার সঙ্গে বিশ্বকাপের জার্সির ছবির হুবহু মিল পাওয়া গেছে। তথ্য মতে, ২০১৫ সালে জার্সির ওই ডিজাইনটি পিন্টারেস্টের ওয়েবসাইটে প্রথম প্রকাশ করা হয়। যাতে বোঝাই যাচ্ছে জার্সি তৈরির কোম্পানিটি পিন্টারেস্ট থেকে সেই ছবিটি নামিয়ে হুবহু বসিয়ে দিয়েছে জার্সির গায়ে। যদিও এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য করেনি।
এদিকে কপির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গেলে তা ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তেই। শুরুতে টিম বাংলাদেশের জার্সি প্রশংসা কুড়িয়েছিলো নেটিজেনদের কাছেও। বিসিবি বিশ্বকাপের জার্সি বিক্রির সিদ্ধান্ত ও নিয়েছিলো। কিন্ত কপির বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা।
বিষয়টি নিয়ে এখনো মুখ খোলেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। অভিযোগ প্রমানিত হলে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে সেই সম্পর্কেও তাই জানা যায়নি। তবে বাংলাদেশ টিম এখন আছে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার জন্য। এই সিরিজ খেলেই অস্ট্রেলিয়ার উদ্দ্যেশ্যে বিশ্বকাপ খেলতে রওনা দেবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে এই জার্সি পরেই বাংলাদেশ খেলে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।