বেশ কয়েকদিন ধরেই বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাকিস্তান ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই নেতৃত্ব দেন বাবর আজম। তার নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রথম দিকে ভালো করলেও বর্তমান দলের ফলাফল খুবই খারাপ। ঘরের মাঠেও জিততে পারছে না বাবর আজমের পাকিস্তান। যে কারণে তার অধিনায়কের পদে থাকার সম্ভাবনা আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে পাকিস্তানের টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব হারাতে যাচ্ছেন বাবর আজম, পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম এমনটাই জানিয়েছে।
পাকিস্তান ক্রিকেটে তিন ফরম্যাটে আলাদা অধিনায়ক থাকবে, এমন খবর শোনা গেছে সম্প্রতিই। বাবর আজমকে দায়িত্ব থেকে পুরোপুরি সরিয়ে না দিয়ে ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তান ক্রিকেটে দলের দায়িত্ব ভাগাভাগি হতে পারে এমন আভাসই পাওয়া গেছে। পাকিস্তান সংবাদ সূত্রের খবরও সেটাই বলছে। সূত্রের খবর, ক্রিকেটের এক ফরম্যাটের দায়িত্ব হারাচ্ছেন বাবর আজম, এবং সেটা টেস্টে।
গত বছর একটি টেস্টও জিততে পারেনি পাকিস্তান। ইংল্যান্ডে বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারে তারা। এরপর নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও মেলেনি জয়ের দেখা। তাই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি এবার টেস্ট দলে পরিবর্তন চাইছেন। বাবর আজমের পরিবর্তে টেস্টে তিনি শান মাসুদকে নেতৃত্বে চাইছেন। পাকিস্তানের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার এখন পাকিস্তান সহ – অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে ভিন্ন ভিন্ন অধিনায়ক হওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন আকিব জাভেদ। এমনটাই জানা যায় সংবাদ সূত্রে। পাকিস্তান ক্রিকেট দল তিন ফরম্যাটে ভিন্ন অধিনায়কের নির্দেশে খেলতে অভ্যস্ত নয় যে কারণে এই আপত্তি তার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ” আমি অবাক হব যদি দেখি আলাদা ফরম্যাটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপ্টেন নির্বাচন করা হয়েছে। ”
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের উদাহরণ এনে আকিব জাভেদ আরো বলেন, ” পাকিস্তানের ক্রিকেটে বাজে সময় যাচ্ছে। দলটা আসলে একটা পালাবদলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য দলের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। ইংল্যান্ডকে দেখুন, তারা ২০১৫ সালের পর পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাকিস্তানের অনেক কিছু শেখার আছে।
দেশের ক্রিকেটের বাজে সময়ে নির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ বলেও মনে করেন তিনি৷ আকিব জাভেদ আরও বলেন, ” দেশের ক্রিকেট নিয়ে ভাবতে হবে। নির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে হবে। কখনও আমরা অস্ট্রেলিয়া হতে চাই, কখনও বা ইংল্যান্ডের মতো খেলতে চাই। কিন্ত বাস্তবতা হচ্ছে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। ইংল্যান্ড ২০১৫ সালে গো হারা হেরেছে। এরপর একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছে। এখন বেশ ভালো করছে। তারা নতুনত্ব নিয়ে এসেছে তাদের খেলায়। আমাদেরও আগে পরিকল্পনা ঠিক করতে হবে। নিজেদের কাজ ও দায়িত্ব গুছিয়ে নিতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তবেই দেশের ক্রিকেটে ফিরবে সুদিন। “