বিশ্বজুড়ে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে ঘিরে ফিক্সিং বিতর্কের যেন শেষ নেই। এবার ফিক্সিংয়ে ইস্যুতে প্রশ্নবিদ্ধ হতে চলেছে আবুধাবির টি-টেন লিগ। সম্প্রতি এই লিগে ফিক্সিংয়ের খবর পাওয়ায় তদন্ত শুরু করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। দুর্নীতির বিষয়ে ৬টি মামলার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ইংল্যান্ডের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদন।বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়েছে ক্রিকেট পাড়ায়।
ডেইলি মেইলের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টি-টেন চলাকালীন একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ পায় আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশন। এমনকি টুর্নামেন্টে ম্যাচ পাতানোর মতো গুরুতর অভিযোগও আসে আইসিসির কানে। গোটা আসরে মোট ১৮ মিলিয়ন ডলারের বাজি ধরা হয় বলেও জানা যায়। সেইসাথে এই লিগের স্পন্সর করেছে বেটিং কোম্পানীগুলো। অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে আইসিসি। অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে চায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
টি-টেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, দলের বোলিং এবং ব্যাটিং নাকি নিজেদের মতো করে ঠিক করে দেন ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা। বিষয়টিও জানিয়েছে আইসিসির একটি সূত্র। অবশ্য সেই চিত্র ফুটে ওঠেছে টুর্নামেন্টের শেষদিকে। বেশকিছু ম্যাচের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের ফুটে ওঠেছে দুর্নীতির ছাপ। যে কারণে খেলোয়াড় এবং দলের মালিকদের নিয়ে সন্দেহ জাগে আইসিসির। এরপর থেকেই বিতর্ক বাড়তে থাকে, যার রেশ ধরে তদন্ত শুরু হয়।
শুধু তাই নয়, প্রাথমিক পর্যায়ের সন্দেহের তদন্ত করতে গিয়ে আরো রহস্যজনক তথ্য পেয়ে যায় আইসিসি। অভিযোগ পায় খোদ নামীদামী ক্রিকেটার এবং দলের মালিকদের বিষয়ে। এমনটাই দাবি করেছে ডেইলি মেইল৷ যে কারণে ছাড় দিতে নারাজ আইসিসি। যার ফলে কড়া তদন্তে নেমেছে সংস্থার দুর্নীতি দমন বিভাগ। শেষ পর্যন্ত অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে, কি হতে পারে টি-টেনের ভবিষ্যৎ? সেই প্রশ্নের উত্তর আপাতত মেলানো কঠিন!
অবশ্য টি-টেনের গেল আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট আটটি দল নিয়ে। যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয় ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্স। সেই টুর্নামেন্টে খেলেছেন দুনিয়ার নামকরা অনেক ক্রিকেটার। রয়েছে সাকিব আল হাসান, মঈন আলি, আন্দ্রে রাসেল, নিকোলাস পুরান, ডোয়াইন ব্রাভো, কাইরন পোলার্ড, সিকান্দার রাজা এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার মতো তারকা ক্রিকেটাররা। এখন অভিযোগ কতটুকু প্রমাণ হয়, তাই দেখার অপেক্ষা। আর অভিযোগ প্রমানিত হলে ভেসে যেতে পারেন অনেকে। তবে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এটেছে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ।