জ্যামাইকা তালাওয়াস বনাম গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স (কোয়ালিফায়ার ২) – হাইলাইটস
ফাইনালে উঠার যুদ্ধে, সিপিএল ২০২২ এর কোয়ালিফায়ার ২ ম্যাচে প্রোভিডেন্স স্টেডিয়াম, গায়ানাতে আজ বাংলাদেশ সময় ভোরে মুখোমুখি হয়েছিল জ্যামাইকা তালাওয়াস এবং গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স । প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে জ্যামাইকা তালাওয়াস নির্ধারিত ২০ ওভারে বিশাল একটি লক্ষ্য দাড় করায় বিপরীত দলের জন্য। কিন্তু সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ হয়ে যাওয়ায় লক্ষ্যে পৌছাতে পারে নেই দুর্দান্ত প্রতিযোগী গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স । ফলে সিরিজ থেকে বাদ পড়তে হয় তাদের। এই ম্যাচে জয় লাভ করে জ্যামাইকা তালাওয়াস ফাইনালে প্রবেশ করেছে এবং এবং সেখানে তারা মুখোমুখি হবে বার্বাডোজ রয়্যালস এর সাথে। সেই সাথে জ্যামাইকা তালাওয়াস এর হয়ে অসাধারণ ব্যাটিং করে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের খেতাব জিতে নেন শামার ব্রুকস।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেন গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স এবং জ্যামাইকা তালাওয়াসকে পাঠায় ব্যাটিং এর জন্য। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে খারাপ অবস্থা ছিল জ্যামাইকা তালাওয়াসের। দলীয় ১৬ রানে পড়ে ২ উইকেট। দুই জনই ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। ১ চারের সাহায্যে ৯ বলে ৬ রান করেন ব্র্যান্ডন কিং এবং গোল্ডেন ডাক মারেন কেনার লুইস। এরপর রোভম্যান পাওয়েল ও শামার ব্রুকস মিলে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন। তারা দুজন মিলে ৩য় উইকেটে ৫৫ রানের জুটি তৈরী করেন।
দলীয় ৭১ রানের মাথায় ক্যাচ আউট হন জ্যামাইকা্ন অধিনায়ক। মাঠ ছাড়ার আগে ২৩ বলে ৩৭ রানের দারুন ইনিংস খেলেন তিনি। তার ৩৭ রানের এই ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছয়। তার পরিবর্তে রেমন রেইফার নেমে শামার ব্রুকসের সাথে মিলে দলীয় রানকে ৭১ থেকে নিয়ে যায় ১২৩ এ।
এলবিডব্লিওর ফাঁদে পড়ে আউট হওয়ার আগে ১ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে ২২ বলে ২২ রান করেছিলেন রেমন রেইফার। এরপর তাদের আর কোনো উইকেট পড়ে নেই। শামার ব্রুকস ও ইমাদ ওয়াসিমের ঝড়ো ব্যাটিং-এ ৪.৫ বলে ১২৩ থেকে রান পৌছায় ২২৬ এ। ৫২ বলে ১০৯ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন শামার ব্রুকস। তার এই ১০৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭টি চার ও ৮টি ছয় দিয়ে। এছাড়া ১৫ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ইমাদ ওয়াসিম। ৪১ রান করতে মেরেছিলেন ৪টি চার ও ৩টি ছয়। শেষে ১১ রান এক্সট্রা সহ ২২৬ রান করেন তারা।
গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের পক্ষে ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন ওডিয়ান স্মিথ ও ইমরান তাহির।
লক্ষ্য ছিল ২২৬ রানের জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানেই থেমে যায় দাপুটে দল গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স। তাদের পক্ষে সব থেকে বেশি রান করেছিলেন কিমো পল। ৩৭ বলে করেন ৫৬ রান, সাথে মেরেছিলেন ৭টি চার ও ১টি ছয়। ৩ চার ও ২ ছয়ের সাহায্যে ১৩ বলে ৩১ রান করেন শাই হোপ। ওডিয়ান স্মিথ করেন ১৪ বলে ২৪ রান, গুদাকেশ মতি করেন ১৩ বলে ২২ রান, রহমানুল্লাহ গুরবাজ করেন ১৬ বলে ২২ রান। এছাড়া অধিনায়ক শিমরন হেটমায়ার ১৫ , পল স্টার্লিং ২, রোমারিও শেফার্ড ২, ও সাকিব আল হাসান করেন ৫ রান।
জ্যামাইকা তালাওয়াসের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ক্রিস গ্রিন ও ইমাদ ওয়াসিম। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, নিকোলসন গর্ডন, ও রোভম্যান পাওয়েল
জ্যামাইকা তালাওয়াস বনাম গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স এর স্কোরবোর্ড
জ্যামাইকা তালাওয়াস – ২২৬/৪ (১৮.০)
গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স – ১৮৯/৮ (২০.০)
ফলাফল – জ্যামাইকা তালাওয়াস ৩৭ রানে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – শামার ব্রুকস
জ্যামাইকা তালাওয়াস বনাম গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স ম্যাচের একাদশ
জ্যামাইকা তালাওয়াস | রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), কেনার লুইস (উইকেটরক্ষক), শামার ব্রুকস, ব্র্যান্ডন কিং, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, রেমন রেইফার, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ নবী, নিকোলসন গর্ডন, ক্রিস গ্রিন, মোহাম্মদ আমির |
গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স | শিমরন হেটমায়ার (অধিনায়ক), রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), শাই হোপ, পল স্টার্লিং, কিমো পল, সাকিব আল হাসান, ওডিয়ান স্মিথ, রোমারিও শেফার্ড, জুনিয়র সিনক্লেয়ার, গুদাকেশ মতি, ইমরান তাহির |