জ্যামাইকা তালাওয়াস বনাম বার্বাডোজ রয়্যালস (ম্যাচ ১৪) – হাইলাইটস
সিপিএল ২০২২ এর ১৪ তম ম্যাচে সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল মুখোমুখি হয়েছিল জ্যামাইকা তালাওয়াস এবং বার্বাডোজ রয়্যালস। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে দারুন একটি লক্ষ্য তৈরী করেন জ্যামাইকা তালাওয়াস। কিন্তু সেই লক্ষ্য তারা করতে নেমে নিধারিত ২০ ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই খুব সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বার্বাডোজ রয়্যালস। ফলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় জ্যামাইকা তালাওয়াসকে। এই ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের দুই নাম্বারে আছে জ্যামাইকা তালাওয়াস এবং ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের প্রথমেই আছে বার্বাডোজ রয়্যালস। সেই সাথে বার্বাডোজ রয়্যালসের হয়ে সময়উপযোগী বোলিং করে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের খেতাব জিতে নেন ওবেদ ম্যাককয়।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেন বার্বাডোজ রয়্যালস এবং জ্যামাইকা তালাওয়াসকে আমন্ত্রন জানায় ব্যাটিং এর জন্য। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল ছিল না জ্যামাইকা তালাওয়াসের। দলীয় ৭ রানের মাথায় তারা হারায় ২টি উইকেট। প্রথমেই সাজঘরের পথ ধরেন ৩ বলে ০ রান করা ব্র্যান্ডন কিং। এর কিছুক্ষন পরেই ৪ বলে ১ রান করে মাঠ ছাড়েন কেনার লুইস।
এরপর আমির জাঙ্গু ও রোভম্যান পাওয়েল মিলে খুব ভালই খেলছিলেন। কিন্তু ১১ তম ওভারে দলীয় ৬৪ রানের মাথায় ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আমির জাঙ্গু। আউট হওয়ার আগে ২ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে ৩৬ বলে ৩০ রান করেছিলেন তিনি। এরপর মাঠ ছাড়েন তাদের হয়ে সবথেকে বেশি রান করা অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। ৩১ বলে ৫২ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তার ৫২ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়। ২ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে ১০ বলে ২০ রান করে মাঠ থেকে বিদায় নেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। এরপর ১০ রানের ব্যবধানে পড়ে আরও ২টি উইকেট। ইমাদ ওয়াসিম ৩ রান ও ক্রিস গ্রিন ০।
শেষে ১ বল বাকি থাকতে ক্যাচ আউট হন রেমন রেইফার। ২৬ বলে ৪১ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তার ৪১ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১টি চার ও ৩টি ছয় দিয়ে। এছাড়া ৩ বল খেলে ২ রানে অপরাজিত ছিল মিগেল প্রিটোরিয়াস। শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৭ রান এক্সট্রা সহ ১৫৬ রান করেন তারা।
বার্বাডোজ রয়্যালসের পক্ষে ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন ওবেদ ম্যাককয়। ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন জেসন হোল্ডার। এছাড়া কাইল মায়ার্স, করবিন বোশ ও জোশুয়া বিশপ নেন ১টি করে উইকেট।
লক্ষ্য ছিল ১৫৭ রানের। জবাবে ১ বল হাতে রেখে, মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বার্বাডোজ রয়্যালস। প্রথমে ওপেনিং করতে নেমেছিল কাইল মায়ার্স ও কুইন্টন ডি কক। শুরুতে ভালই খেলছিলেন তারা। কিন্তু ২য় ওভার শেষে ক্রিস গ্রিনের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন কাইল মায়ার্স। ১ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে ৯ বলে ১২ রান করেছিলেন তিনি।
এরপর কুইন্টন ডি কক ও করবিন বোশ মিলে প্রায় জয়ের কাছাকাছি চলে যায়। কিন্তু দলীয় ১৩৪ রানের মাথায় আমিরের বলে বোল্ড আউট হন করবিন বোশ। ৩ চার ও ২ ছয়ের সাহায্যে ৪৯ বলে ৫৬ রান করেছিলেন তিনি। শেষে অধিনায়ক ডেভিড মিলার নেমে কুইন্টন ডি ককের সাথে মিলে দারুন ব্যাটিং করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ৭ চারের সাহায্যে ৫৩ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন কুইন্টন ডি কক ও ১ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে ৮ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার।
জ্যামাইকা তালাওয়াস বনাম বার্বাডোজ রয়্যালস এর স্কোরবোর্ড
জ্যামাইকা তালাওয়াস – ১৫৬/৮ (২০.০)
বার্বাডোজ রয়্যালস – ১৫৭/২ (১৯.৫)
ফলাফল – বার্বাডোজ রয়্যালস ৮ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – ওবেদ ম্যাককয়
জ্যামাইকা তালাওয়াস বনাম বার্বাডোজ রয়্যালস ম্যাচের একাদশ
জ্যামাইকা তালাওয়াস | রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), আমির জাঙ্গু (উইকেটরক্ষক), কেনার লুইস, ব্র্যান্ডন কিং, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, রেমন রেইফার, ক্রিস গ্রিন, ইমাদ ওয়াসিম, জোশুয়া জেমস, মিগেল প্রিটোরিয়াস, মোহাম্মদ আমির |
বার্বাডোজ রয়্যালস | ডেভিড মিলার (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), কাইল মায়ার্স, আজম খান, করবিন বোশ, ডেভন থমাস, জেসন হোল্ডার, জোশুয়া বিশপ, হেইডেন ওয়ালশ, ওশানে থমাস, ওবেদ ম্যাককয় |