সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো সময় কাটাচ্ছেন শুভমান গিল। গত বছর যেমন ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন, এবছর সেই ধারাটা আরো বেড়েছে তার। এতদিন ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটে পারফর্ম করলেও, ২০২৩ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকটাও হয়েছে গিলেন। আর তাতেই বাজিমাত করলেন, ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে। জানুয়ারি মাসের সেরা ক্রিকেটারও হয়ে গেলেন গিল। ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন এই সেনসেশনের ব্যাটের মধুচন্দ্রিমা যেন কাটছেই না।
যদিও টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক সিরিজটা তেমন রাঙ্গিয়ে দিতে পারেননি তিনি। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হয়ে ওঠেন বিস্ফোরক। কিউইদের বিপক্ষে ১২৬ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলে, হৈচৈ ফেলে দেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। যা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ। তার সেই পারফরম্যান্সের সুবাদে, সহজভাবে কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ জিতে নেয় ভারত।
জানুয়ারিতে ওয়ানডে সিরিজেও নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছেন গিল। কিউইদের বিপক্ষে হাঁকিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক। আর এই দ্বিশতকের সুবাদে একটি রেকর্ডও গড়েন তিনি। গিলের খেলা ২০৮ রানের ইনিংসটি, ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে দ্বিশতকের রেকর্ড গড়েছে। তৃতীয় ওয়ানডেতেও শতক হাঁকিয়ে, ওয়ানডে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হন তিনি।
এমন সব পারফরম্যান্সের সুবাদে আইসিসি ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ এর জন্য প্রাথমিকভাবে সুযোগ পান গিল। তার সঙ্গে মাসসেরা খেলোয়াড় হতে প্রতিযোগিতা করেছেন, আরেক ভারতীয় মোহাম্মদ সিরাজ এবং নিউজিল্যান্ডের কনওয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গিলের সঙ্গে পেরে ওঠেননি তারা। গিলের হাতেই উঠেছে আইসিসি মাসসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার। প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
এদিকে বছরের শেষদিকে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলবে ভারত। এই আসরের আগের গিলের এমন ফর্ম, ভারতের জন্য নিশ্চয় সুখবর। এসময়ে ব্যাট হাতে খুব একটা ছন্দে নেই লোকেশ রাহুল। সেক্ষেত্রে রানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে, রোহিত শর্মার সঙ্গে বিশ্বকাপেও ওপেন করতে দেখা যাবে গিলকে। আপাতত এ নিয়ে কোনো সন্দেহ না থাকলেও, বিশ্বকাপ পর্যন্ত ফিট থাকতে হবে তাকে।