কিছুদিন আগে এশিয়া কাপ দিয়ে প্রায় তিন বছর পর জাতীয় দলে ফিরেন সাব্বির রহমান। পাওয়ার হিটারের খোজে থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাব্বিরকে ডেকে নেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। কিন্তু এরমধ্যে টানা ব্যর্থতার কারণে বাদও পড়েছেন। প্রশ্ন ওঠে, উল্লেখযোগ্য কোনো পারফরম্যান্স ছাড়াই সাব্বির কেন জাতীয় দলে? জাতীয় দলে ঢোকার প্রক্রিয়াটাই বা কি?
জাতীয় দলে ফেরার পর সাব্বির ৪ ম্যাচ থেকে রান করেছেন সর্বসাকুল্যে ৩১ রান। একদিকে ব্যাটে রান নেই, এরমধ্যে টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকার কারণে দর্শক সমালোচনার মুখে পড়েন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। নেটিজেনদের কাছে ‘টিকটকার সাব্বির’ বলে উপাধি পেয়ে বসেন এই ক্রিকেটার। সেই আলোচনা-সমালোচনায় এবার নতুন মোড় নিয়েছে।
সম্প্রতি দেশের এক দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদনে অভিযোগ আনা হয়, বোর্ড কর্তারদের কাছে লবিং করেই জাতীয় দলে ফিরেছেন সাব্বির। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গেল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পর (ডিপিএল) থেকে জাতীয় দলে ফেরার জন্য এক বোর্ড কর্তার দ্বারস্থ হন সাব্বির। এমনকি একপর্যায়ে সেই বোর্ড কর্তার কাছে কান্নাকাটি করে মন জয় করে নেন তিনি। তাতেই দরজা খুলে যায় জাতীয় দলের।
এদিকে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সাব্বির। এমনকি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন এই ক্রিকেটার। এছাড়া তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি অনুরোধও করেছেন সাব্বির। লবিং করে জাতীয় দলে ফেরা, সংবাদটির জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানালেন সাব্বির।
সোমবার নিজের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ থেকে লাইভে এসে সাব্বির বলেন, ‘আমি পেশাদার ক্রিকেটার। আমার ব্যক্তিগত জীবন আছে। তা নিয়ে সংবাদ করার কিছু দেখি না। টিকটক করে এমন কোনো দোষও করিনি। আশা করবো, সাংবাদিক ভাইরা এসব থেকে বিরত থাকবেন। পারফরম্যান্স না করায় আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে আমি অখুশি নই।’
তিনি আরো বলেন, ‘আশা করছি যে বা যারা আমার জায়গায় খেলবেন, তারা ভালো পারফরম্যান্স করবেন। সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, আমি নাকি বিসিবির ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে দলে ডুকেছি। আমি পারফরম্যান্স না করলে ডাক পেতাম না। লবিং করলে তিন বছর আগেই ডাক পেতাম। আমি এ বিষয়ে (সংবাদের বিরুদ্ধে) সঠিক ব্যবস্থা নেব।’
তবে এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত কি ব্যবস্থা নেন সাব্বির। তবে গণমাধ্যমের দাবি, বোর্ড কর্তার কাছে লবিং করার বিষয়ে যথেষ্ট তথ্যপ্রমানও রয়েছে সাব্বিরের বিরুদ্ধে। ক্রিকেট মহলে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন সাব্বির কি পারবেন নিজের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ ‘ভুল’ প্রমাণ করতে?