দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ সফরে এসেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। জস বাটলার, মঈন আলিরা ঢাকায় পা রেখেছেন আরো বেশ কয়েকদিন আগে। ইতোমধ্যে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনও করেছেন ইংলিশরা। মাঠের ২২ গজের লড়াইয়ের আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন দলটির অধিনায়ক জস বাটলার। তার মতে, ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে হারানো কঠিন কাজ। ঘরের মাঠে তারা ভালো দল। তবে ইংল্যান্ড নিজেদের খেলাটা খেলতে চায় বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন বাটলার।
টাইগারদের বিপক্ষে এই সিরিজকে, নিজেদের শক্তি পরীক্ষার মঞ্চ হিসেবে দেখছেন বাটলার। তার মতে, কঠিন কন্ডিশন এবং প্রতিকূল পরিবেশে খেলতে অভ্যস্ত হওয়াটা দলের জন্য ভালো। এবছরের শেষদিকে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আর এই বিশ্বকাপে বর্তমান চ্যাম্পিয়নের তকমা নিয়ে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। এজন্য নিজেদের সেরা প্রস্তুতি সারতে ব্যস্ত তারা। তাই বাংলাদেশ সিরিজকে পাখির চোখ করেছেন বাটলার। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ অভিযানের পূর্বে বাংলাদেশের সঙ্গে সিরিজে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে চায় ইংলিশরা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে সমীহ করে বাটলার বলেন, ” বাংলাদেশ এখন যথেষ্ট শক্তিশালী দল। সাকিব আল হাসান সহ এখানে বেশকিছু ভালো ক্রিকেটার আছেন, যারা ম্যাচ জেতাতে পারেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বশেষ আসরেও ভালো করেছেন অনেক তরুণ ক্রিকেটার। বিশেষ করে ঘরের মাঠে, তারা সবসময় শক্তিশালী। এজন্য তাদের হারানোটা খুব সহজ কাজ হবে না। ঘরের মাঠে তারা অনেকটাই অপ্রতিরোধ্য। তবে আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে চাই। “
এদিকে বাংলাদেশের উইকেট এবং কন্ডিশন নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না বাটলার। প্রতিকূল কন্ডিশন এবং ধীরগতির উইকেটে খেলতে চান তিনি। এ প্রসঙ্গে ইংলিশ অধিনায়ক আরো বলেন, ” আমাদের প্রত্যাশা ছিল ধীরগতির উইকেট। ঠিক তেমনটা পাওয়া যাবে বাংলাদেশে। কন্ডিশন চাই কঠিন হোক। এটা আমাদের জন্য ভালো হবে। সামনে যেহেতু ওয়ানডে বিশ্বকাপ, সেহেতু প্রস্তুতিটাও ঠিকঠাকমতো নেওয়া যাবে। আর ভারতের মাটিতে যেহেতু বিশ্বকাপ তাই বাংলাদেশ সিরিজটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারন ভারতের উইকেটের সাথে এখানকার উইকেটের অনেক মিল আছে। “
উল্লেখ্য, ১ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। শুরুতে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে মুখোমুখি হচ্ছেন তামিম ইকবাল এবং বাটলার বাহিনী। শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ । এরপর ওয়ানডে সিরিজ শেষ করে, টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে দুই দল। ঢাকায় প্রথম দুইটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার পর, উভয় দল যাবে চট্টগ্রামে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে একটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি–টোয়েন্টি।