ক্রিকেটে শেন ওয়ার্ন এসেছিলেন ঝড় হয়ে। এ যেন এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। বিশাল সব ঘুর্ণি, খ্যাতি আর বিতর্ক। বাজিকর, ডায়েট পিল, আরও কত বিতর্ক এবং সব সময়ে সংবাদ শিরোনামে থাকা- এই সব মিলিয়েই ছিল ওয়ার্নের জীবন।
২০০০ সালে ওয়ার্নকে উইজডেন নির্বাচিত করেছিল বিংশ শতাব্দীর সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন হিসেবে। নানা ঘটনা আর নাটকীয়তায় ভরা এক জীবন বেছে নিয়েছিলেন ওয়ার্ন। তার জীবনের একটা অংশ রূপকথার মতো আরেক অংশ বিতর্কের কালিমালিপ্ত। আছে টেস্ট হ্যাটট্রিক, আছে বিশ্বকাপের ফাইনালে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার কীর্তি।
ওয়ার্ন তার ক্যারিয়ারের ৫০০ তম উইকেটটি পেয়েছিলেন গলে। এছাড়াও ২০০৪ সালের সুনামিতে পুরো লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছিল গল স্টেডিয়াম। তখন স্টেডিয়ামের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে লঙ্কা দ্বীপে পৌঁছে গেছিলেন ওয়ার্ন। তাছাড়া সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যার্থে একটি চ্যারিটি ম্যাচও খেলেছিলেন এই কিংবদন্তী ক্রিকেটার।
বর্তমানে এই গল স্টেডিয়ামেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ খেলছে ওয়ার্নের অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচের পূর্বেই ওয়ার্নকে স্মরণ করতে ভুলে নি লঙ্কানরা। ওয়ার্নের কথা কখনো ভুলবেও না লঙ্কানরা এমনটাই জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা। তিনি বলেন, ‘সবাই তাকে অসাধারণ এক খেলোয়াড় হিসেবে জানে। কিন্তু সুনামির পর সে শ্রীলঙ্কানদের হৃদয়ের আরও কাছাকাছি চলে আসে।’
সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর গল ও শ্রীলঙ্কাকে গড়ে তুলতে একসাথে কাজ করেছেন ওয়ার্ন ও মুত্তিয়া মুরালিধরন। এইখানে একসাথে কাজ করলেও বাইশগজে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তারা। এই ব্যাপারে রানাতুঙ্গা বলেন, ‘আমি মনে করি, মুরালি সব সময়ই ওয়ার্নের চেয়ে একটি উইকেট বেশি নিতে চাইত। আমি নিশ্চিত ওয়ার্ন ও তা–ই চাইত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেললে আমরা মুরালির সেরাটা দেখতে পেতাম।’