ক্রিকেটে ভারত–পাকিস্তান মুখোমুখি মানেই মাঠের ২২ গজে হাই ভোল্টেজ ম্যাচের উত্তাপ।দুই দলের ম্যাচ মানেই উত্তেজনায় ঠাসা। ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে তো বটেই, সেই উত্তেজনা ছড়িয়ে যায় দুই দেশের ক্রিকেটারদের মাঝেও। ম্যাচের আগে–পরে চলে বাকযুদ্ধ ।
এই যেমন এবার এশিয়া কাপের ম্যাচের আগে সাবেক তারকা পেসার ওয়াকার ইউনুস খোচা দিয়েছিলেন ভারতকে। ভারতের ইরফান পাঠান ও তার জবাব দেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্প্রীতি–সৌহার্দ্য দেখা গেলেও, অতীতেও দেখা গেছে খোচাখুচি করতে।
ভারত–পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের মধ্যে দুই দেশের দুই সাবেক তারকা শহীদ আফ্রিদি এবং গৌতম গম্ভীরের লড়াইটা দীর্ঘদিনের। এখন আর কেউ জাতীয় দলের হয়ে খেলেন না। তবে মুখের কথার যুদ্ধ চলছেই। দুজনের সম্পর্ক যেন সাপে নেউলের মত। কেউ কাউকে একবিন্দু ছাড় দিতে নারাজ।
কি নিয়ে শুরু হয়েছিল তাদের দ্বন্দ্ব? ২০০৭ সালে একটি ওয়ানডে ম্যাচ চলাকালে বিবাদে জড়ান দুজনে। এরপর প্রায় ১৫ বছর কেটে গেলেও সেই বিবাদের রেশ কাটেনি আফ্রিদি–গম্ভীরের। সুযোগ পেলে দুজনেই দুজনকে খোচাখুচি করেন।
ব্যতিক্রম ঘটেনি এবারেও। ২৮ আগস্টের ম্যাচে ভারতের কাছে পাকিস্তান হেরে গেলেও, গম্ভীরকে খোঁচা দিতে ভোলেননি আফ্রিদি। আফ্রিদি জানান, ভারতের সব ক্রিকেটারের সঙ্গে তর্কে যান না তিনি।
পাকিস্তানের স্থানীয় একটি গণমাধ্যমকে এ প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, ‘বিষয়টা এমন নয় যে, আমি অন্য কোনো ভারতীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে ঝগড়া বা বিবাদে জড়াই। গম্ভীরের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকবার বিবাদ হয়েছে। আমার মনে হয় সে এমন একজন মানুষ, যাকে ভারতীয় দলেরও কেউ পছন্দ করেন না।‘
এখন পর্যন্ত অবশ্য আফ্রিদির কথার পালটা জবাব দেননি গম্ভীর। তবে অনেকেই প্রত্যাশা করছেন গম্ভীর যে ধরনের লোক দ্রুতই পালটা জবাব দেবেন। দেখা যাক মাঠের লড়াইয়ের পর ভার্চুয়াল জগতেও দুজনের লড়াই কতদূর যায়।