ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা (১ম – ওয়ানডে)
চেষ্টার লি স্ট্রিটে মঙ্গলবার বিকেলে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ইংলিশরা। ১৫.১ ওভার হাতে রেখে পাওয়া জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিক দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল লঙ্কানরা। ৪৬ রানের মধ্যে হারায় শীর্ষ ৩ ব্যাটসম্যানকে। পাথুম নিশাঙ্কা (৫), চারিথ আশালাঙ্কা (০) আর দাসুন শানাকা (১) দুই অংক ছোঁয়ার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন। অধিনায়ক কুশল পেরেরা শুধু একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সে আসা-যাওয়া দেখছিলেন। এরপর অবশ্য ওয়ানিদু হাসারাঙ্গার সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৯৯ রানের জুটি গড়ে দলকে দারুণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন পেরেরা।
এরপর হঠাৎ দৃশ্যপটে পরিবর্তন। হাসারাঙ্গা (৬৫ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় ৫৪) ক্রিস ওকসের শিকার হয়ে ফেরার পরই হঠাৎ ধস নামে সফরকারীদের ইনিংসে। ১৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এর মধ্যে আছেন অধিনায়ক কুশল পেরেরাও। ৮১ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৭৩ রান করে ডেভিড উইলির কাছে উইকেট দেন তিনি।
শেষদিকে চামিকা করুনারত্নে (১৯*) লড়াই করার চেষ্টা করলেও সঙ্গীর অভাবে পারেননি। ৪০ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ৪২.৩ ওভারে ১৮৫ রানে থেমে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ১০ ওভারের মধ্যে পাঁচটিতেই মেইডেন দিয়ে ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফলতম বোলার ক্রিস ওকস (৪-১৮, ১০ ওভার)। এছাড়া ৩টি উইকেট শিকার করছেন ডেভিড উইলি।
১৮৬ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে ইংলিশরা। তবে লঙ্কান বোলাররাও চেষ্টা কম করেননি। জনি বেয়ারস্টোর ২১ বলে ৪৩ রানের ঝড়ের পরও ১২ ওভারের মধ্যে ৮০ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ইংলিশ সমর্থকদের কিছুটা দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে জো রুট আর মঈন আলি দেখেশুনে খেলে ম্যাচটা বের করে নিয়েছেন। মঈন ২৮ করে সাজঘরে ফিরলেও, জো রুট ৮৭ বলে অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংস খেলেই মাঠ ছেড়েছেন।
স্কোরবোর্ড:
শ্রীলঙ্কা – ১৮৫/১০ (৪২.৩)
ইংল্যান্ড – ১৮৯/৫ (৩৪.৫)
ফলাফল – ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অফ দি ম্যাচ – ক্রিস ওকস
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (৩য় – টি20)
পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১ রানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রানাডার সেন্ট জর্জে ন্যাশানাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৪ রান দরকার ছিল ক্যারিবীয়দের। কিন্তু কাগিসো রাবাদার করা সেই ওভারে ১৩ নিতে পেরেছেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও ডোয়াইন ব্রাভো।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৫ চার ও ২ ছয়ে, ৫১ বলে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন কুইন্টন ডি কক। এছাড়া র্যাসি ভ্যান ডার ডুসেন ৩২ ও এইডেন মার্করাম ২৩ রান করেন। ক্যারিবীয়দের হয়ে সর্বাধিক উইকেট শিকার করেন ওবেদ ম্যাকয় (৪-২২, ৪ ওভার)। এছাড়া ডোয়াইন ব্র্যাভো তিন উইকেট তুলে নেন।
১৬৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ৬.৫ ওভারেই ৫৫ রান তুলে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন প্রোটিয়া স্পিনার তাবরিজ শামসি। শেষ পর্যন্ত এক রানে হার মানতে হয় টি-টোয়েন্টির বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ক্যারিবীয়দের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন এভিন লুইস ও নিকোলাস পুরান। এ জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
স্কোরবোর্ড:
দক্ষিণ আফ্রিকা – ১৬৭/৮ (২০.০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ১৬৬/৭ (২০.০)
ফলাফল – দক্ষিণ আফ্রিকা ১ রানে জয়ী
প্লেয়ার অফ দি ম্যাচ – তাবরিজ শামসি
ব্যাট ও বলের কিছু আকর্ষণীয় লড়াই নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চলছে। তাদের বিজয়ীদের ভবিষ্যদ্বাণী করুন এবং Baji তে বেট ধরুন!