বিপিএল ২০২২ – ম্যাচ ০৯ (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বনাম খুলনা টাইগার্স)
বিপিএল ২০২২ এর ৯ম ম্যাচে শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে খুলনা টাইগার্স। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান তুলতে সমর্থ হয় চ্যালেঞ্জার্স।
চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে আফিফ হোসেন ৩৭ বলে সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া উইল জ্যাকস ২৮ এবং নাঈম ইসলাম ২৫ রান করেন। টাইগার্সের হয়ে থিসারা পেরেরা ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন।
১৪৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগার্স। দলের পক্ষে ৬ চার ও ২ ছক্কায়, ৪৭ বলে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন আন্দ্রে ফ্লেচার। এছাড়া মুশফিকুর রহিম ৩০ বলে ৪৪ এবং সেকুগু প্রসন্ন ১৫ বলে ২৩ রানের দুটি কার্যকারী ইনিংস খেলেন। চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে মেহেদী হাসান সর্বাধিক ২টি উইকেট তুলে নেন।
এই ম্যাচে জয়ী হয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩য় স্থানে উঠে এসেছে খুলনা টাইগার্স। অপরদিকে পরাজিত হয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এখনও পয়েন্ট টেবিলের ২য় স্থানে অবস্থান করছে।
স্কোরবোর্ড
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স – ১৪৩/৮ (২০.০)
খুলনা টাইগার্স – ১৪৪/৪ (১৮.৫)
ফলাফল – খুলনা টাইগার্স ৬ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – আন্দ্রে ফ্লেচার
বিপিএল ২০২২ – ম্যাচ ১০ (সিলেট সানরাইজার্স বনাম মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা)
শুক্রবার বিপিএল ২০২২ এর ডাবল হেডারের ২য় ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সৌজন্যে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ৯ উইকেটের এক বিশাল জয় পেয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে লেন্ডল সিমন্সের সেঞ্চুরির সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে সানরাইজার্স।
সানরাইজার্সের পক্ষে লেন্ডল সিমন্স ১৪ চার ও ৫ ছক্কায়, ৬৫ বলে সর্বোচ্চ ১১৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এছাড়া এনামুল হক ১৮ এবং মোসাদ্দেক হোসেন ১৩ রান করেন। মিনিস্টার গ্রুপের হয়ে কায়েস আহমেদ, মাশরাফি মুর্তজা, এবাদত হোসেন এবং আন্দ্রে রাসেল সর্বোচ্চ ১টি করে উইকেট তুলে নেন।
১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ইনিংসের ১৮ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মিনিস্টার গ্রুপ। দলের পক্ষে ১৭ চার ও ৪ ছক্কায়, ৬৪ বলে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১১১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এছাড়া মোহাম্মদ শাহজাদ ৩৯ বলে ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। সানরাইজার্সের হয়ে আলাউদ্দিন বাবু ১টি উইকেট তুলে নেন।
এই ম্যাচে জয়ী হয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৪র্থ স্থানে উঠে এসেছে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। অপরদিকে পরাজিত হয়ে সিলেট সানরাইজার্স পয়েন্ট টেবিলের ৫ম স্থানে অবস্থান করছে।
স্কোরবোর্ড
সিলেট সানরাইজার্স – ১৭৫/৫ (২০.০)
মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা – ১৭৭/১ (১৭.০)
ফলাফল – মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা ৯ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – তামিম ইকবাল
পিসিএল ২০২২ – ম্যাচ ২ (কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স বনাম পেশোয়ার জালমি)
পিসএল ২০২২ এর দ্বিতীয় ম্যাচে করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের এক শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে নিয়েছে পেশোয়ার জালমি। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানের বড় স্কোর সংগ্রহ করে গ্ল্যাডিয়েটর্স।
গ্ল্যাডিয়েটর্সের পক্ষে, উইল স্মিড ১১ চার ও ৪ ছক্কায়, ৬২ বলে সর্বোচ্চ ৯৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। এছাড়া আহসান আলী ৪৬ বলে ৭৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। জালমির হয়ে উসমান কাদির এবং সামিন গুল সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
১৯১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯.৪ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জালমি। দলের পক্ষে ৫ চার ও ২ ছক্কায়, ২৯ বলে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন হোসেন তালাত। এছাড়া অধিনায়ক শোয়েব মালিক ৩২ বলে অপরাজিত ৪৮ এবং ইয়াসির খান ১২ বলে ৩০ রান করেন। গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে মোহাম্মদ নওয়াজ সর্বাধিক ৩টি উইকেট তুলে নেন।
এই ম্যাচে জয়ী হয়ে জয়ের মাধ্যমে টুর্নামেন্ট শুরু করলো পেশোয়ার জালমি। অপরদিকে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স প্রথম পয়েন্ট অর্জনের মিশনে আজ রাতে তাদের পরবর্তী খেলায় করচি কিংসের বিপক্ষে মাঠে নামবে।
স্কোরবোর্ড
কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স – ১৯০/৪ (২০.০)
পেশোয়ার জালমি – ১৯১/৫ (১৯.৪)
ফলাফল – পেশোয়ার জালমি ৫ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – উইল স্মিড
বিবিএল ২০২১/২২ – ফাইনাল (পার্থ স্কর্চার্স বনাম সিডনি সিক্সার্স)
শুক্রবার বিবিএল ২০২১/২২ এর ফাইনালে ডকল্যান্ডসের মার্বেল স্টেডিয়ামে সিডনি সিক্সার্সকে ৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এই আসরের শিরোপা জিতে নিয়েছে পার্থ স্কর্চার্স। স্কর্চার্সের দেওয়া ১৭২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যায় সিক্সার্স।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান সংগ্রহ করে স্কর্চার্স। শুরুতে ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পরে যায় স্কর্চার্স। পরে লরি ইভান্স ও অধিনায়ক অ্যাশটন টার্নার দলকে ম্যাচে ফিরান। ইভান্স ৪ চার ও ৪ ছক্কায়, ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। এছাড়া ৩৫ বলে ৫৪ রান করেন টার্নার। সিক্সার্সের হয়ে স্টিভ ও’কিফ ও নাথান লায়ন সর্বাধিক ২টি করে উইকেট তুলে নেন।
১৭২ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে স্কর্চার্সের বোলারদের বোলিং তোপে ১৬.২ ওভারে মাত্র ৯২ রান তুলতেই অল-আউট হয়ে যায় সিক্সার্স। দলের পক্ষে একাই লড়াই করে ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন ড্যানিয়েল হিউজ। এছাড়া নিকোলাস বার্টুস ১৫ ও জে লেন্টন ১০ রান করেন। স্কর্চার্সের হয়ে অ্যান্ড্রু টাই সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ঝাই রিচার্ডসন ২টি এবং জেসন বেহরেনডর্ফ, টার্নার, পিটার ও অ্যাশটন অ্যাগার ১টি করে উইকেট তুলে নেন।
এই নিয়ে প্রায় পাঁচ বছর পর ৪র্থ বারের মত বিগ ব্যাশ লিগের শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলল পার্থ স্কর্চার্স। এর আগে তারা ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫ ও ২০১৬-১৭ মৌসুমে শিরোপা জিতেছিল।
স্কোরবোর্ড
পার্থ স্কর্চার্স – ১৭১/৬ (২০.০)
সিডনি সিক্সার্স – ৯২/১০ (১৬.২)
ফলাফল – পার্থ স্কর্চার্স ৭৯ রানে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – লরি ইভান্স
প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ – বেন ম্যাকডারমট